অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া
বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বেকারত্বের হারও লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাকরি তো খুব সামান্য মানুষ পাচ্ছে যে হারে শিক্ষিত হচ্ছে তার থেকে।তাই আপনি শিক্ষিত হয়ে চাকরির পিছনে না ছুটে নিজে নিজে কিছু করার চেষ্টা করুন আশা করি চাকরির থেকে অনেক ভাল কিছু হবে। আজ আমি অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে কিছু তথ্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। আশাকরি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
এই পোস্ট এর মাধ্যমে আপনি কিভাবে একজন দক্ষ ও লাভজনক ব্যবসায়ী হয়ে উঠবেন সে বিষয় কিছু কিছু তথ্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।
ভূমিকা
কথায় আছে চাকরি হলো সোনার হরিন। তাহলে একবার ভাবুন যে চাকরি দেয় সে কি। তাই আপনি চাকরির পিছনে কেন ছুটবেন আপনি চাইলে নিজেই মানুষকে চাকরি দিতে পরেন। আর এটি সম্ভবন একজন দক্ষ ব্যবসায়ী হিসাবে যদি নিজেকে প্রমান করতে পারেন তার মধ্য দিয়ে।অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া
মানুষ এক লাফে গাছে উঠতে পারেনা। আর যে একলাভে অনেক বড়কিছু করতে চাই তার নিচে পড়ার প্রবনাতা অনেক বেশি। তাই আপনি প্রথমে অল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করুন। আপনি যদি অল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন তাহলে ব্যবসায় লস হলেও তা মানিয়ে নিতে পারবেন। যেহেতু ব্যবসায় লাভ ও লস দুটোই আছে। আর এজন্য ব্যবসাকে হালাল বলা হয়েছে। কোন কাজ বা ব্যবসায় ছোট না, আপনি যদি এটিকে মনোযোগ সহকারে মন দিয়ে করতে পারেন তাহলে এটি আপনার জন্য সফলতা বয়ে আনবে ইনশাল্লাহ।আরো পড়ুন: চাকরী না ব্যবসা কোনটি ভাল
এখন আসুন আপনি কি কি ব্যবসা অল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করতে পারেন সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
স্টোক মালের ব্যবসা
এটি খুব ভাল একটি ব্যবসা। এই ব্যবসায় অনেক সময় লাভ তুলনামুলক কম হলেও লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। এজন্য আপনি উঠতি সময়ে অর্থাৎ কৃষকরা যে সময় ফসল ঘরে তোলে তখন অনেক কৃষক প্রয়োজনে তা বিক্রি করে। সেই সময় আপনি যদি ধান, গম, ভুট্টা, পাট, মুশুর ডাল, খেসারী, শরিষা ইত্যাদি এ যাতীয় ফসল কিনে রাখতে পারেন তাহলে পরবর্তী সময়ে এ সকল জিনিসের দাম অবশ্যই বাড়বে। আপনি যদি সেই সময় তা বিক্রি করে থাকে তাহলে লাভ অবশ্যই হবে। এ জন্য আপনার একটি সুন্দর শুকনো গোডাউন ঘরের প্রয়োজন হবে।খড় স্টোক করে রাখা
বর্তমানে গরু পালনে মানুষ অনেক ঝুকেছে। এর মাধ্যমে অনেকে সাবলম্বীও হচ্ছে। আপনি যদি উঠতি সময়ে গরুর খড় কিনে খুব ভাল ভাবে যেন উই পোকা ও ইদুর না নস্ট করে সেই উপযোগী করে রাখতে পারেন তাহলে দেখবেন কিছুদিন পর খড়ের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। কোন কোন সময় এটি দ্বিগুন দাম পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি সেই সময় তা বিক্রি করেন তাহলে তার মূল্য থেকে অনেক ভাল পরিমান লাভ করতে পারেন।পশু খাদ্যের দোকান
আপনি যদি একটি ভাল পজিশানে এইট দোকান করতে পারেন তাহলে আপনার বিক্রি অনেক হবে। বর্তমানে মানুষ নিজে কম খেলেও গরু ছাগলকে ভাল পরিমানে খাওয়ায়। তাই আপনি অল্প পুঁজিতে পশু খাদ্যের দোকান এর ব্যবসা করতে পারেন।আরো পড়ুন: মন ভাল করার উপায়
গাভী পালন
আপনার যদি অল্প পুঁজি থাকে তাহলে আপনি গাভী পালন করতে পারেন। এ জন্য একটি ভাল যাতের গাভী কিনে কিছুদিন বাড়িতে রেখে খাওয়াতে পারেন তাহলে সেখান থেকে বাচ্চা হবে এবং এটি আস্তে আস্তে সাবলম্বি হওয়ার সুযোগ তৈরি করবে। গাভীর দুধ বিক্রি করে আপনি নিজেও চলতে পারবেন।মুদি দোকান
আপনি প্রথমে একটি ছোট পরিসরে মুদি দোকান দিতে পারেন। সময়ে সাথে সাথে যখন আপনার বিক্রি বৃদ্ধি পাবে তখন মালামাল বৃদ্ধি করবেন এবং আস্তে আস্তে অনেক বড় ব্যবসায়ী হয়ে উঠতে পারবেন।কাপড়ের দোকান
একটি ভাল বাজারে আপনি প্রথমে ছোট দোকান দিতে পারেন এবং সেখানে বিভিন্ন রকমের চোখে লাগার মত জিনিস রাখবেন। তাহলে দেখবেন আপনি খুব তাড়াতাড়ি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হবেন। যখন দেখবেন মানাষের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে তখনই সেই প্রোডাক্টটি তার সামনে তুলে ধরুন দেখবেন আপনার সেল খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাচ্ছে।কসমেটিকস ব্যবসা
এই ব্যবসায় অনেক লাভ। আপনি কোন বাজারে যদি সেখানে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা থাকে তাহলে অনেক ভাল হয়। আপনি যদি এরকম কোন পজিশানে এই ব্যবসা করতে পারেন তাহলে আপনার বিক্রি অনেক হবে এবং সেখান থেকে একটি ভাল পরিমান লাভ করতে সম্ভম হবেন।স্টেশনারী ব্যবসা
এই ব্যবসা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা বা যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে এরকম স্থানে দিলে খুব ভাল হয়। এই ব্যবসা থেকেও আপনি একজন সফল ব্যবসায়ী হিসাবে নিজেকে প্রমান করতে পারেন।ফুসকা ও চটপটি ব্যবসা
বর্তমানে এই ব্যবসা কম পুঁজিতে অনেক লাভজন। আপনি যদি যে সমস্ত জায়গায় মানুষের আনাগোনা বেশি থাকে ঐ সমস্ত জায়গায় এ ব্যবসা করতে পারেন তাহলে দিন শেসে সব বাদ দিয়ে ২-৩ হাজার টাকা লাভ করা অসম্ভবন কিছু নয়। সে জন্য নিজেকে ও ব্যবসায ব্যবহৃত জিনিসপত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।ফলের রসের ব্যবসা
স্কুল,কলেজ, পার্ক বা এমন কোন স্থান যেখানে প্রচুর মানুষের আসা যাওয়া ও সময় কাটায়। ঐ সমস্ত জায়গায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে এ ব্যবসা করতে পারেন তাহলে আপনি এখান থেকে ভাল পরিমান অর্থ উপার্যন করতে পারবেন।চা এর দোকান
অল্প পুঁজিতে খুব লাভজনক একটি ব্যবসা। চা খায়না এমন মানুষ খুজে পাওয়া যায়না। তাই আপনি আধুন যে চা গুলো মানুষ খায় বা আপনি ইউটিউব বা গুগল থেকে চা বানানোর প্রসেস দেখে এই ব্যবসা করতে পারেন তাহলে আপনি এ ব্যবসা থেকে লাভ করতে পারবেন খুব অনায়াসে।ইলেকট্রোনিক্স ব্যবসা
এই ব্যবসাও অনেক লাভজনক একটি ব্যবসা। আপনি যদি ঢাকা হতে বিভিন্ন চোখ ঝাঝালো জিনিসপত্র ক্রয় করে এনে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে পারেন তাহলে এখানথেকেও অনেক ভাল পরিমান অর্থ উপার্যন করা সম্ভব।
মোবাইল জিনিপত্র বিক্রয়
বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেনা এমন মানুষ খুজে পাওয়া যায়না। সব বাড়িতে দুই থেকে তিনটি বা তার বেশি মোবাইল আছে। আপনি যদি মোবাইলের বিভিন্ন পাটর্স ও এন্ড্রোয়েড ফোনের ভিন্ন প্রডাক্ট রাখতে পারেন তাহলেও খুব ভাল ব্যবসা করতে পারেন।
শেষ কথাঃ প্রিয় পাঠক আশা করি এই পোস্ট এর মাধ্যমে আপনি নিশ্চয় উপকৃত হবেন। অন্যকে উপকৃত হতে দয়া করে আপনার শুভাকাঙ্খিদের মাঝে শেয়ার করুন। এরকমন আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পেতে আমাদের হোমপেজ ফলো রাখতে পারেন। ধন্যবাদ
উপসংহার
কোন ব্যবসা বা কাজ ছোট নয়। আপনি প্রথমে অল্প দিয়ে শুরু করুন দেখবেন এমন এক সময় আসবে আপনি একা একা সব করতে পারবেন না এ জন্য আপনার একজন বা একাধিক সহযোগী প্রয়োজন হবে। তাই আমি আপনাকে বলবো বেকার বসে না উপরে উল্লেখিত যে কোন একটি ব্যবসার উদ্যোক্ত হয়ে যান এবং তা মনোযোগ সহকারে করতে থাকুন শেষটা খুব ভাল হবে।শেষ কথাঃ প্রিয় পাঠক আশা করি এই পোস্ট এর মাধ্যমে আপনি নিশ্চয় উপকৃত হবেন। অন্যকে উপকৃত হতে দয়া করে আপনার শুভাকাঙ্খিদের মাঝে শেয়ার করুন। এরকমন আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পেতে আমাদের হোমপেজ ফলো রাখতে পারেন। ধন্যবাদ
আপডেট ব্লগ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন; প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url