হরলিক্স এর উপকারিতা-হরলিক্স খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এর অপকারিতা

আমরা সবাই হরলিক্স এর সম্পর্কে জানি ও চিনি। এটি আমরা খাবারের বাইরে অতিরিক্ত চুষ্টিকর খাবার হিসাবে গ্রহণ করে থাকি। হরলিক্স এর মধ্যে বেস কয়েকটি প্রকারভেট রয়েছে। আজ আমি আপনাদের মাঝে হরলিক্স এর উপকারিতা সহ বিভিন্ন তথ্য নিয়ে সাজিয়েছি আর্টিকেলটি। তাই জানার জন্য মনোযোগ সহকারে পুরো পোস্টটি পড়ুন।
 
হরলিক্স এর উপকারিতা

হরলিক্স আমরা বচ্চাদের খাওয়ানোর পাশাপাশি বড়রাও খেয়ে থাকি অনায়াসে। কিন্তু আমরা কি জানি হরলিক্স খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এর অপকারিতা সম্পর্কে। সব কিছু জানার জন্য পুরো পোস্টটি পড়ুন।

ভূমিকা

বেড়ে উঠার ডোজ রোজ রোজ এমন একটি বিজ্ঞান আমরা হরলিক্স এর মাধ্যমে দেখে থাকি। হরলিক্স খাবারে পুষ্টি ঘাটতি থাকলে তা পুরোনের জন্য কাজ করে থাকে। হরলিক্স এর মধ্যে বেশ কিছু প্রকার ভেদ রয়েছে। বিভিন্ন বয়সের জন্য বিভিন্ন প্রকার হরলিক্স রয়েছে।

হরলিক্স কি

এটি এক ধরনের পাউডার জাতীয় খাবার। যা পানি অথবা দুধের সথে ভাল ভাবে মিশিয়ে খেতে হয়। এর মধ্যে গম, ভুট্টা, ওটস, ছোলা, কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম, আমন্ট বাদাম, গুড়া দুধ, তালমিছরি, বার্লি সহ ইত্যাদি পুষ্টিকর খাবারের মিশ্রন হলো হরলিক্স।

হরলিক্স এর প্রকারভেদ

হরলিক্স এর মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরি বিদ্যমান। এটি বয়স ভেদে তৈরি করা হয়ে থাকে। আসুন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

জুনিয়র হরলিক্স

জুনিয়র হরলিক্স সাধারণত বাচ্চাদের জন্য। এটি দুই থেকে পাঁচ বছরের বাচ্চাদের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়।

বড়দের হরলিক্স

এই হরলিক্স সাধারণত পাঁচ বছর থেকে শুরু সকল বয়সের মানুষ খেতে পারবে এমন উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে।
 
আরো পড়ুন: গ্রিন টি খাওয়ার উপকারি-গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম

মাদার হরলিক্স

এটি মুলত গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে। তবে আপনি অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে পারেন।

হরলিক্স এর উপকারিতা

এখন আমরা হরলিক্স এর বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে জানবো-
 
আরো পড়ুন: কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

হরলিক্স মেটাবলিজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

আমাদের সুস্থ্য থাকার জন্য অবশ্যই ভালো মেটাবলিজম এর প্রয়োজন। তাই আপনি যদি শরীরে ভাল মেটাবলিজন পেতে চান তাহলে হরলিক্স খেতে পারেন।

পুষ্টি ঘাটতি পুরন করে

খাবারে অনিহা, অথবা ঠিক মত খেতে না চাইলে হরলিক্স খাবারের ঘারটির ফলে যে যে পুষ্টি হিনতায় ভূগে হরলিক্স তা পুরন করে।

ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে

কেউ যদি ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে অবশ্যিই হরলিক্স খেতে পারেন। হরলিক্স আপনার শরীর স্লিম রেখে ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

লম্বা হলে সাহায্য করে

হরলিক্স এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো আপনার বাচ্চাকে দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বলে দাবী করে একদল গবেষক।

শরীরের হাড় মতজুত রাখে

হরলিক্সে থাকা ক্যালশিয়াম শরীরের হাড় মজবুত করতে ও হাড়ের গঠন ভালো রাখতে সাহায্য করে।

স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করবে

হরলিক্স খাওয়ার ফলে একদল গবেষন বিশ্বাস করে বাচ্চার স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে হরলিক্স।

রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে

নিয়মিত নিয়ম মেনে হরলিক্স খেলে এটি শরীরে রক্ত বৃদ্ধি সকরতে সাহায্য করে।

মাংসপেশী ও শিরা সবল রাখে

হরলিক্স শরীরের মাংসপেশী ও বিভিন্ন শিরাগুলো সবল রেখে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে থাকে।

হরলিক্স খাওয়ার সঠিক নিয়ম

সব কিছু নিয়ম মেনে খাওয়া ভাল কিন্তু নিয়ম মেনে না খেলে এর ভাল ফলাফল পাওয়া তো দুরের কথা বরং এর দ্বারা আপনার ক্ষতি হতে পারে। এখন আসুন হরলিক্স খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

হরলিক্স গরম পানির অথবা দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে হবে। এটি দুধের সাথে খেতে পারলে অনেক ভাল হয়। তবে এটি খুব ভাল ভাবে মিশিয়ে খেতে হবে। এটি আপনি সকালে নাস্তার সাথে খেতে পারেন অথবা রাত্রেও খেতে পারেন। তবে যাদের এসিডিটি জনিত সমস্যা রয়েছে তারা বিকালে বা রাতে খেতে পারেন। তবে কখনো হরলিক্স ঠান্ডা পানি বা দুধের সঙ্গে খেতে যাবেন না।

গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খেলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স এটি এটি বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমেই বলা হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রতিদিন সুষম খাবার, দুধ, ডিম, সবুজ শাকসবজি, ফলমুল, মাংস ইত্যাদি খেতে পারেন তাহলে এটি খাওয়ার কোন প্রেয়োজন হবে বলে আমি মনে করিনা। তবে আপনি যদি গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খেতেই চান তাহলে অবশ্যই একজন ভাল গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারেই খেতে পারেন।

হরলিক্স এর অপকারিতা

অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তারগণ বাচ্চাদের হরলিক্স খেতে নিষেধ করে কারন এটি সাধারণত অর্গানিক উপায় অবলম্বন করে তৈরি করা হয়ে থাকেনা। তাই এটি বাচ্চাদের ক্ষতি করতে পারে। হরলিক্স খাওয়ার ফলে অনেক সময় বদ হজম জনিত সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও স্নায়ু বিপর্যয়, গ্যাস্টিক ও কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

উপসংহার

হরলিক্স বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে। ভারত এবং বাংলাদেশে বা এশিয়াতে এটি একটু বেশি বিজ্ঞাপনে প্রচার প্রচারনা করা হয়ে থাকে যা অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তবের সাথে মিল থাকেনা। তাই পনি খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন ভাল বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে খেতে পারেন এটি।

শেষ কথাঃ প্রিয় পাঠক আশা করি এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের হোম পেজ ফলো রাখতে পাতে পারেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপডেট ব্লগ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন; প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url