ভাল স্বামী হওয়ার উপায়
বিবাহের মাধ্যমে দুইজন মানুষের মধ্যে একটি বন্ধনের সৃষ্টি হয় যার নাম বিবাহ বন্ধন। এই বন্ধনের মাধ্যমে দুটি মানুষের মনের মিল থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত সকল বিষয় সম্পর্কে। কিন্তু আপনি যাকে বিবাহ করে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন তার কাছে আপনি কিভাবে একজন ভাল স্বামী হয়ে উঠবেন সে সম্পর্কে জানা না থাকলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। তাই গুরুত্বসহকারে পুরো পোস্টটি পড়ুন।
একজন ভাল স্বামীর মধ্যে বেশ কিছু গুন থাকতে হবে। এই গুনগুলো না থাকলে আপনি কোন ভাবে একজন ভাল ও দায়িত্ববান স্বামী হয়ে উঠতে পারবেন না। এই এই সমস্ত বিষয়গুলো আপনার জানা দরকার।
ভূমিকা
আপনি একজন পুরুষ এবং বিবাহ করলেই আপনি একজন স্বামী হতে পারেন তবে ভাল স্বামী হতে হলে আপনাকে বেশ কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে। তা না হলে আপনি কোনভাবেই একজন আদর্শ ও ভাল স্বামী হয়ে উঠতে পারবেন না। একজন স্বামীর উপর নির্ভর করে গড়ে উঠে একটি পরিবার।
আরো পড়ুন: ভাল স্ত্রী হওয়ার উপায়
ভাল স্বামী হওয়ার উপায়
ভাল স্বামী হওয়ার জন্য বেশকিছু দায়িত্ব আপনাকে পালন করতে হবে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু দায়িত্ব ও ভাল স্বামী হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনাদের মাঝে আলোচনা করা হলো।
আরো পড়ুন: মানুষ ইগনোর করে বা এরিয়ে চলে কেন
দায়িত্ববান স্বামী
একজন দায়িত্বশীল স্বামী তাকেই বলে যে তার সকল দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে। কার সাথে কিভাবে চলতে হবে, কার কি পাপ্য সেটা সঠিক ভাবে অনুধাবন করা। নিজের পরিবারের অন্যান্য সদস্য, স্ত্রীর বাড়ীর সদস্য ও আত্মীয়স্বজনদের সাথে ভাল আচরন করা।
স্ত্রীর মনবোঝা
একজন নারী যখন বাবার বাড়ী থেকে আপনার বাড়ীর আসে তখন সে শুধু আপনাকেই অবলম্বন করে বাঁচতে চায়। তবে মহিলারা বসকিছু মুখ ফুটে বলতে চায়না। সেক্ষেত্রে আপনানাকে স্ত্রীর মন বুঝতে হবে। তাকে সময় দিতে হবে তার চাওয়া পাওয়াকে মূল্যায়ন করতে হবে।
স্ত্রীকে সময় দেওয়া
একজন স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে সময় আশা করে। সেই জন্য আপনি আপনার স্ত্রীকে যথেষ্ট সময় দিন। তার সাথে গল্প করুন, হাসেন। এতেকরে আপনার স্ত্রীর মন হালকা হবে।
স্ত্রীর শরীরের খেয়াল রাখা
আপনি একজন ভাল স্বামী হতে হলে অবশ্যই স্ত্রীর শরীরের খেয়াল রাখতে হবে। তার অসুখ, শরীরর খারাপ, মন খারাপ ইত্যাদি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। তার কি প্রয়োজন জিজ্ঞাসা করতে হবে এবং তা সাধ্যমত পুরন করার চেষ্টা করতে হবে।
কাজ থেকে এসে রাগ না দেখানো
আপনি বাহিরে যে কোন কাজের উদ্দেশ্যে যেতে পারেন। কিন্তু কখনো ভুল করেও কাজ থেকে ফিরে আপনার স্ত্রীর সাথে রাগান্নিত আচারনে কথা বলবেন না। কারন আপনি যেমন বাহিরে অনেক কাজ করে আপনাকে মনে রাখতে হবে সেও কিন্তু বাড়িতে যথেষ্ট কাজ করে। তাই কাজ বা চাকরী থেকে ফিরছেন বলে কখনো বাসায় দাম্ভিকতা দেখাবেন না।
স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া
সম্ভব হলে প্রতি সপ্তাহে স্ত্রীকে নিয়ে বাহিরে ঘুরতে যান। তাহলে স্ত্রীর মন অনেক ভাল থাকবে। পাশাপশি দুজনের মধ্যে অনেক জানাশোনা বাড়বে একটু অন্যরকম অনুভূতি পাবেন। প্রতি সপ্তাহে বেড়াতে বা ঘুরতে না গেলেও মাসে একবার বাওয়ার চেষ্টা করুন।
স্ত্রীকে গিফট করা
মাঝে মাঝে স্ত্রীকে কিছু গিফট করতে পারেন। কারন স্ত্রীকে গিফট করতে বা তার অজান্তে কিছু দিলে সে অনেক খুশি হবে।
স্ত্রীকে কেনাকাটা করানো
মাঝে মাঝে স্ত্রীকে কেনাকাটা করে দিবেন। তার খোজ নিবেন তার কি প্রয়োজন সে বিষয়ে। দেখবেন আপনি অতি সহজে আপনার স্ত্রীর কাছে একজন ভাল স্বামী হয়ে উঠবেন।
স্ত্রীর সাথে রমেন্টিক সময় কাটানো
একজন স্ত্রী সবসময় আশা করে তার স্বামী রমেন্টিক হোক, তার সাথে হেসে হেসে রমেন্টিকভাবে কথা বলুক। তাই আপনাকে রমেন্টিক হতে হবে।
স্ত্রীর বাড়ীর লোকজনের সাথে ভাল আচরন করা
আপনি আপনার স্ত্রীর বাড়ীর সকল সদস্যদের সাথে ভাল আচারন করুন। তাহলে সকলে আপনাকে ভালবাসবে এবং আপনি তাদের কাছেও একজন গ্রহনযোগ্য ব্যক্তি হিসাবে গড়ে উঠবেন।
বদ অভ্যাস ত্যগ করতে হবে
একজন স্ত্রী সব সময় একজন সৎ ও নৈতিক চরিত্রের ব্যক্তিকে স্বামী হিসাবে গ্রহন করতে চায়। তাই আপনার যদি কোন বদ অভ্যাস থাকে অথ্যাৎ কোন গালফ্রেন্ড বা অন্য কোন খারাপ যায়গায় যাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে তা ত্যাগ করুন।
কাজের প্রতি মনোযোগী হওয়া
একজন ভাল স্বামী হতে হলে আপনাকে অবশ্যই কাজের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। কাজ না করলে আপনি আপনার পরিবারের ভোরনপোশন সহ কোন চাহিদা পুরন করতে পারবেন না। আর মহিলারা চায় তার স্বামী কাজ করুক যেন সে মাথা তুলে বলতে পারে তার স্বামী বেকার না কোন কোন কাজ করে।
মদপান, ধুনপান বা নেশা না করা
মহিলারা কখনো একজন নেশাগ্রস্থ ব্যক্তিকে পছন্দ করেনা। তাই আপনি যদি এ ধরনের নেশায় ডুবে থাকেন বা নেশা করেন তাহলে অবশ্যই তা পরিত্যাগ করুন।
উপসংহার
একটি পরিবার গঠনের জন্য ও পরিবারটিকে ধরে রাখার জন্য অনেকটা দায়িত্ব নির্ভর করে স্বামী উপর। আপনি যদি ভাল স্বামী হতে না পারেন তাহলেও কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দুইজন মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয় দুরত্বের যার ফলে পরিবার বিচ্ছেদ হতে পারে।
শেষ কথাঃ যায় হোক পুরুষ মানুষকে অনেকিছু মানিয়ে নিতে হবে এটিই স্বাভাবিক। আপনি যায়কিছু করেন না কেন আপনার উপর নির্ভর করে একটি পরিবার। তাই মাথা ঠান্ডা রাখুন হাসিখুশি ভাবে চলাচল করুন।
আপডেট ব্লগ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন; প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url