গোসল ফরজ হলে সেহেরি করা যাবে কি
প্রিয় পাঠক আজ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য আপনাদের মাঝে আলোচনা করতে যাচ্ছি যেটি হলো কারো গোসল ফরজ হলে সেহেরি করা যাবে কি সে সম্পর্কে। তাই গুরুত্বসহকারে আশা করি পুরো পোস্টটি পড়ুন এবং নিজে ও অন্যকেও উপকৃত করুন।
আল্লাহ তালার সৃষ্টির মধ্যে মানুষ অন্যতম একটি মাখলুকাত। মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষ জাতীকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন। তবে আমাদের মাঝে প্রায় একটি বিষয় নিয়ে চিন্তা থাকে বিশেষ করে রমজান মাসে নাপাক অবস্থায় সেহেরি করা যাবে কিনা।
সবার প্রথমে বলতে চাই স্ত্রী সহবাস করতে নিষেধ করা হয়নাই তবে সংযোত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে দিনের বেলা রোজা রাখা অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা যাবে না। করলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। তবে স্ত্রীক জড়িয়ে ধরা বা কিচ করলে রোজা ভঙ্গ হবে না। তবে তা নিদিষ্ট সীমার মধ্যে করতে হবে যেন বির্য বের না হয় অথবা কোন নাপাক পানি বের না হয়।
আর যদি সেহেরির যথেষ্ট সময় রয়েছে সেক্ষেত্রে আপনাকে আগে গোসল করে তার পর সেহেরি করে নিবেন। কারণ হলো সেহেরির পর একটি বড় ফরজ ইবাদত হলো ফজরের সালাত আদায় করা। আর আপনি তো নাপাক অবস্থায় সালাত আদায় করতে পারবেন না।
কথা হলো সময় না থাকলে আগে সেহেরি করবেন আর সময় যথেষ্ট থাকলে আগে গোসল করে নিবেন।
সবার প্রথমে বলতে চাই স্ত্রী সহবাস করতে নিষেধ করা হয়নাই তবে সংযোত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে দিনের বেলা রোজা রাখা অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা যাবে না। করলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। তবে স্ত্রীক জড়িয়ে ধরা বা কিচ করলে রোজা ভঙ্গ হবে না। তবে তা নিদিষ্ট সীমার মধ্যে করতে হবে যেন বির্য বের না হয় অথবা কোন নাপাক পানি বের না হয়।
কখন ফরজ গোসল হয়
যখন আপনি স্ত্রী সহবাস করেন তার পরেই আপনার গোসল ফরজ হয়ে যায়। এছাড়াও আমাদের মধ্যে অনেক যুবক ভাই আছে যাদের স্বপ্নদোষ হয় সেক্ষেত্রে গোসল ফরজ হয়ে যায়। অথবা নিজ ইচ্ছায় যখন বীর্জ বের করা হবে সেক্ষেত্রেও গোসল ফরজ হয়ে যাবে।গোসল ফরজ হলে সেহেরি করা যাবে কি না
আপনার গোসল ফরজ হয়েছে এক্ষেত্রে আপনি কি করবেন। আগে গোসল করবেন নাকি সেহেরি করবেন। গোসলের সাথে সেহেরির কোন সম্পর্ক নাই আপনি আগে সেহেরি করতে পারবেন। তবে মনে রাখার বিষয় হলো আপনি সেহেরি করার শেষ মুর্হূর্তে জাগা পেলেন এমন সময় আপনি গোসল করতে গেলে সেহেরি করার সময় চলে যাবে। এমন যদি হয় তাহলে আপনি আগে সেহেরি করে নিবেন। সেক্ষেত্রে নাপাক জায়গাগুলো ভাল করে ধুয়ে নিবেন এবং ওযু করে সেহেরি করবেন।এর পর আপসি সেহেরি করবেন।আর যদি সেহেরির যথেষ্ট সময় রয়েছে সেক্ষেত্রে আপনাকে আগে গোসল করে তার পর সেহেরি করে নিবেন। কারণ হলো সেহেরির পর একটি বড় ফরজ ইবাদত হলো ফজরের সালাত আদায় করা। আর আপনি তো নাপাক অবস্থায় সালাত আদায় করতে পারবেন না।
কথা হলো সময় না থাকলে আগে সেহেরি করবেন আর সময় যথেষ্ট থাকলে আগে গোসল করে নিবেন।
স্বপ্ন দোষ হলো কি রোযা ভঙ্গ হয়
কেউ সেহেরি করে আবার ঘুমিয়ে যায় আর সে সময় কারো স্বপ্নদোষ হলো তাহলে তার রোজা ভঙ্গ হবে না। কারণ সেটি সে নিজের ইচ্ছায় করেনি। সেক্ষেত্রে তাকে সকালে উঠে ফরজ গোসল যে ভাবে করতে হয় সে ভাবে গোসল করে নিতে হবে।ফরজ গোসল করার নিয়ম
কারো গোসল ফরজ হলে গোসল করার পূর্বে তাকে খুব ভাল করে ওযু করে নিতে হবে। এর পর গোসলের পানি দিয়ে প্রথমে ডান দিকে তার পর বাম দিকে ভাল করে ধৌত করে নিত হবে। এর পর সারাশরীর খুব ভাল করে পানি দিয়ে দৌত করতে হবে যাতে একটি পোশম এর গোড়া পর্যন্ত বাদ না পড়ে।
আপডেট ব্লগ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন; প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url