অনলাইন থেকে জমির খতিয়ান ডাউনলোড করার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আজ আমি আপনাদের মাঝে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আমাদের সকলেরই প্রায় কম বেশি জমি রয়েছে। বর্তমান জীবন ব্যবস্থায় আমরা সকলে বিভিন্ন কর্মে ব্যস্ত থাকি। আর এ ব্যস্তময় জীবনে আমাদের জমির দিকে তেমন কোন নজর দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকার ভূমি মন্ত্রণালয়ে এনেছে এক বিশাল পরিবর্তন। এখন আপনি ঘরে বসে নিশ্চিন্তে আপনার জমির খতিয়ান ডাউনলোড করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন এই পোস্টের মাধ্যমে।
বর্তমান বিশ্ব আধুনিক ও আধুনিকায়নে দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে এর প্রভাবও পড়েছে বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রনালয়ে। এখন আপনি নিজে নিজে আপনার জমির তথ্য দেখুন।
ভূমিকা
বর্তমান সরকার আমাদের দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তর করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিটি কাজে এখন আর পূর্বের মত লাইন ধরে বা দালাল ধরে কাজ করতে হয়না। এরকমই একটি প্রভাব বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রনালয়ে। আসুন কিভাবে আপনি ঘরে বসে আপনার জমির খতিয়ান বের করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।জমির খতিয়ান ডাউনলোড করার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আমরা যারা বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইড হতে জমির খতিয়ান বের করতে চাই তারা প্রথমে বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েব সাইডে প্রবেশ করতে www.land.gov.bd তে প্রবেশ করবো এর পর আমাদের মাঝে ড্যাশবোড ওপেন হবে। সেখানে স্মার্ট ভূমি রেকর্ড ও ম্যাপ নামক একটি ট্যাব প্রদর্শন হবে। সেখানে ক্লিক করেও আমরা খতিয়ান ডাউনলোড পেজে যেতে পারিআরো পড়ুন: অনলাইনে ভোটার হওয়ার উপায়।
অথবা https://www.eporcha.gov.bd লিংকে সরাসরি প্রবেশ করেও যেতে পারি জমির খতিয়ান ডাউনলোড পেজে। এর পর আপনার সামনে নির্দেশিকা, সার্ভে খতিয়ান, নামজারি খতিয়ান, মৌজা ম্যাপ ও আবেদনের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য বাটন থাকবে। সেখান থেকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সার্ভে খতিয়ান প্রয়োজন হলে সার্ভে খতিয়ান বা নামজারি হলে নামজারি খতিয়ানে ক্লিক করবেন।
ধরুন আপনার সার্ভে খতিয়ান প্রয়োজন। তাই সার্ভে খতিয়ানে ক্লিক করার পর বা ক্লিক থাকা অবস্থায় নিচে কিছু অপশোন আসবে। সেখান থেকে বিভাগ, জেলা, উপজেলা সঠিক ভাবে সিলেক্ট করে খতিয়ানের ধরন সমূহ আসবে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের তালিকা থাকবে। সেখান থেকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আরএস হলে আরএস বা এস এ হলে এসএ যেটা আপনার প্রয়োজন সেটি সিলেক্ট করার পর মৌজা অপশন থেকে মৌজার নাম বের করুন অথবা অনুসন্ধানে মৌজার নাম লিখুন।
ধরুন আপনার সার্ভে খতিয়ান প্রয়োজন। তাই সার্ভে খতিয়ানে ক্লিক করার পর বা ক্লিক থাকা অবস্থায় নিচে কিছু অপশোন আসবে। সেখান থেকে বিভাগ, জেলা, উপজেলা সঠিক ভাবে সিলেক্ট করে খতিয়ানের ধরন সমূহ আসবে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের তালিকা থাকবে। সেখান থেকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আরএস হলে আরএস বা এস এ হলে এসএ যেটা আপনার প্রয়োজন সেটি সিলেক্ট করার পর মৌজা অপশন থেকে মৌজার নাম বের করুন অথবা অনুসন্ধানে মৌজার নাম লিখুন।
আরো পড়ুন: অনলাইনে জিডি করার নিয়ম
মৌজার নাম আসলে সেটিতে ক্লিক করে খতিয়ানের তালিকা অপশনে গিয় সেখানে খতিয়ান নম্বর লিখুন এবং পাশে থাকা খুজুন বাটনে ক্লিক করুন। যদি খতিয়ান নম্বর না থাকে বা ভুলে গিয়ে থাকেন তাহলে নিচে থাকা অধিকতর অনুসন্ধানে ক্লিক করে মালিকের নাম ও দাগ নং লেখার অপশন আসবে সেখানে সঠিক ভাবে লিখে খুজুন বাটনে ক্লিক করুন তাহলে জমির তথ্য খতিয়ান নম্বর সহ দেখাবে।
এর উপর আপনি ডবল ক্লিক করলে খতিয়ানের আবেদন এবং বিস্তারিত নামে দুটি বাটন দেখতে পাবেন। আপনি বিস্তারিততে ক্লিক করলে খতিয়ানের তথ্য দেখতে পাবেন এবং আবেদনে ক্লিক করলে আরেকটি অপশন আসবে সেখানে আপনি আপনার অথবা জমি মালিক যে কারো জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ ও জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী ইংরেজী নাম লিখুন এবং বায়োমেট্রিক নিবন্ধিত একটি মোবাইল নম্বর দিন।
এর পর নিচে থাকা সংখ্যার যোগফল ফাকা ঘরে লিখুন ও বাংলায় ঠিকানা ঘরে আপনার ঠিকানা লিখুন এবং যাচাই করুন নামন বাটনে ক্লিক করুন। এর পর তথ্য সঠিক আছে বলে একটি লেখা দেখাবে সেটি ওকে করুন। এর পর নিচে দুইটি বাটন দেখাবে সেটি হলো অনলাইন কপি ও সার্টিফাই কপি।
টাকা পরিশোধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার কাছে উক্ত খতিয়ানটি ডাউনলোড হবে। এবং আপনি খতিয়ানটি ডাউনলোড করে সংরোক্ষন করতে পারেন অথবা প্রিন্ট করেন নিবেন।
লেখকের মন্তব্য: এখন আর কারো সরনাপন্য না হয়ে বা কাউকে বার বার অনুরোধ না করে আপনি খুব সহজে এই পোস্টটির নিয়ম অনুসারে ঘরে বসে জমির খতিয়ান ডাউনলোড করুন। পোস্টটির মাধ্যমে উপকৃত হলে এর লিংক অন্যকে শেয়ার করে সহযোগিতা করুন। ধন্যবাদ।
এর উপর আপনি ডবল ক্লিক করলে খতিয়ানের আবেদন এবং বিস্তারিত নামে দুটি বাটন দেখতে পাবেন। আপনি বিস্তারিততে ক্লিক করলে খতিয়ানের তথ্য দেখতে পাবেন এবং আবেদনে ক্লিক করলে আরেকটি অপশন আসবে সেখানে আপনি আপনার অথবা জমি মালিক যে কারো জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ ও জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী ইংরেজী নাম লিখুন এবং বায়োমেট্রিক নিবন্ধিত একটি মোবাইল নম্বর দিন।
এর পর নিচে থাকা সংখ্যার যোগফল ফাকা ঘরে লিখুন ও বাংলায় ঠিকানা ঘরে আপনার ঠিকানা লিখুন এবং যাচাই করুন নামন বাটনে ক্লিক করুন। এর পর তথ্য সঠিক আছে বলে একটি লেখা দেখাবে সেটি ওকে করুন। এর পর নিচে দুইটি বাটন দেখাবে সেটি হলো অনলাইন কপি ও সার্টিফাই কপি।
অনলাইন খতিয়ান ডাউনলোড করার নিয়ম
উপরোক্ত কাজ শেষ করার পর আপনি যদি অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে চান তাহলে অনলাইন কপির উপর ক্লিক করে আপনার মোবাইলের বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়, ekpay এর যে কোনটি সিলেক্ট করে নিচের সংখ্যা গুলো যোগ করে ফাকা ঘরে বসান। নম্বর থেকে ১০০ (একশত) টাকা পরিশোধ করার জন্য পরবর্তী ধান (ফি পরিশোধ) এ ক্লিক করে আপনার মোবাইল নম্বর দিন এবং আপনার মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি আসবে সেটি বসিয়ে পিন নম্বর দিয়ে টাকা পরিশোধ করুন।টাকা পরিশোধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার কাছে উক্ত খতিয়ানটি ডাউনলোড হবে। এবং আপনি খতিয়ানটি ডাউনলোড করে সংরোক্ষন করতে পারেন অথবা প্রিন্ট করেন নিবেন।
সার্টিফাই কপি ডাউনলোড করার নিয়ম
সার্টিফাই খতিয়ান মুলত সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায়না। এটিও একই নিয়ময়ে সার্টিফাই কপি সিলেক্ট করে আবেদন করতে হয়। এবং এটি পাওয়ার অপশন ডাকবিভাগ সিলেক করে টাকা পেমেন্ট করতে হবে। মনে রাখতে হবে এটি ডাক বিভাগের মাধ্যমে আসবে এবং আপনার হাতে পৌছানে ৭দিন বা কখনো কখনো এর থেকে একটু বেশি সময় লাগতে পারে।উপসংহার
দেশ এখন অনেক আধুনিক হয়েছে। পড়েছে আমাদের চলাফেরায় আধুনিকতার ছোঁয়া। আর এ আধুনিক সময়ে আগের মতো আর অফিসে অফিসে দোড়াদোড়ি করে সেন্ডেল ক্ষয় না করে উপরোক্ত নিয়ম অনুসরন করে অনায়ায়ে কোন ঝামেলা ছাড়াই ঘরে বসে মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে আপনার জমির খতিয়ান ডাউনলোড করুন সহজে।লেখকের মন্তব্য: এখন আর কারো সরনাপন্য না হয়ে বা কাউকে বার বার অনুরোধ না করে আপনি খুব সহজে এই পোস্টটির নিয়ম অনুসারে ঘরে বসে জমির খতিয়ান ডাউনলোড করুন। পোস্টটির মাধ্যমে উপকৃত হলে এর লিংক অন্যকে শেয়ার করে সহযোগিতা করুন। ধন্যবাদ।
আপডেট ব্লগ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন; প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url