সহজে মোটা হওয়ার কার্যকরী সঠিক পদ্ধতি

আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা মোটা হতে চাই। কারণ একেবারে রোগা পাতলা চেহারা অনেকেরই পছন্দ নাও হতে পারে। সেই জন্য আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানতে চায়। আপনি এই পোস্টের মাধ্যমে কিভাবে সহজে মোটা ওয়া কার্যকরী সঠিক পদ্ধতি রয়েছে সে সম্পর্কে খুব সহজেই জেনে যাবেন।
 
সহজে মোটা হওয়ার কার্যকরী সঠিক পদ্ধতি

আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা মোটা হওয়ার জন্য ঔষধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু আপনি যদি মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ঔষধ খেয়ে থাকেন তাহলে পরবর্তীতে এটি আপনার বিভিন্ন সমস্যার কারণ হয়ে ডারাতে পারে। তাই আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে মোটা হওয়ার জন্য চেষ্টা করুন।

ভূমিকা

আমাদের মাঝে অনেকেই মোটা হওয়ার জন্য ডাক্তার দেখিয়ে থাকেন। এবং সে অনুযায়ী বিভিন্ন কোম্পানির ঔষধ সেবন করেন। এতে করে আপনি মোটা হন ঠিকই কিন্তু সঠিক মাত্রায় কি মোটা হচ্ছেন বা স্বাস্থ্যবান হচ্ছেন কিনা সেটি যাচাই করা জরুরী।

মোটা হওয়ার কিছু পদ্ধতি

আপনাকে আগে জানতে হবে কতটুকু উচ্চতায় কতটুকু ওজন হওয়া জরুরী। সেই জন্য আপনার উচ্চতাকে সেন্টিমিটারে বের করে নিতে হবে। এবং যত সেন্টিমিটার হবে তার থেকে ১০০ বাদ দিয়ে যা থাকবে সেটি আপনার ওজন হওয়া বাঞ্চনিয়। ধরুন আপনার উচ্চতা ১৭৫ সেন্টিমিটার এর থেকে ১০০ বাদ দিলে থাকে ৭৫। আর এই ৭৫ ই হলো আপনার সঠিক ওজন।
 
আরো জানুন: ভাল থাকার উপায়
 
কিন্তু এর থেকে যদি কম হয় তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে হবে। এইটি হলো সব থেকে ওজন বের করার সহজ উপায়। এছাড়াও আপনি গুগল প্লে স্টোর থেকে BMI নামক বিভিন্ন এ্যাপ্স রয়েছে যেগুলো ডাউনলোড করেও আপনি আপনার হাইট দিয়ে ওয়ের বের করতে পারেন।

ওজন বৃদ্ধি করার খাবার

আমাদের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন রকমের খাবারের কথা বলে থাকে যেগুলো খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় কিন্তু সেটি চর্বি ও ভূড়িতে শরীরের মার্সেল এ নয়। সেই জন্য আপনাকে কিছু স্বাস্থ্যকর খাবারের পরামর্শ দিয়ে থাকি। সেগুলো হলো।
 
আরো পড়ুন: কোলাজেন বৃদ্ধির উপায়

ওজন বৃদ্ধিতে দুধের ভূমিকা

দুধ নিঃসন্দেহে খুব পুষ্টিকর একটি খাবার। দুধ যেকোন খাবারের সাথে অথবা খাবারের পারে অনায়াসে খাওয়া যায়। দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমান ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, ভিটামিন বি১২ সহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান। যেগুলো আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি প্রতিদিন আপনার খাবারে দুধ রাখতে পারেন।

ওজন বৃদ্ধিতে ডিম ভূমিকা

ডিমকে বলা হয় প্রাকৃতিক ভিটামিনের ভান্ডার। ডিমে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান। ডিমে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল ও প্রোটিন। ডিম মুলত ভেজে খাওয়ার থেকে সেদ্ধ খাওয়া ভাল। কারন ভেজে খাওয়ার সময় তা অস্বাস্থ্য সম্মত তেল দিয়ে ভাজা হলে তার পুষ্টিগুন নষ্ট হয়ে যায়।

ওজন বৃদ্ধিতে ডালের ভূমিকা

ডাল দামে সস্তা একঠি খাবার কিন্তু এর পুষ্টিগুন রয়েছে অনেক বেশি। ডাল পাতলা খাওয়ার থেকে একটু ঘন ডাল খাওয়া অনেক ভাল। ডালের মধ্যে রয়েছে আমিষ যা গরু ও খাসির মাংসে রয়েছে। কিন্তু উক্ত মাংস প্রতিদিন খাওয়ার ফলে আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে ডাল আপনি প্রতিদিন খেলে কোন সমস্যা নাই আবার পুষ্টিও পাবেন।

ওজন বৃদ্ধিতে মুরগির মাংস এর ভূমিকা

গরু ও খাসির মাংসের চেয়ে মুরগির মাংস খাওয়া আমাদের জন্য অনেক ভাল। গরু ও খাসির মাংস খেলে আপনার হার্ড ও পেশার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আপনি যদি মুরগির মাংস খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার কোন সমস্যা বেনা আশা করা যায়।

যে ফল খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়

এবার আসুন যে ফলগুলো খেলে ওজন বৃদ্ধি করা সম্ভব সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা যায়। যে ফলগুলো দামে সস্তা ও খুব সহজেই পাওয়া সম্ভব।

কলার ভূমিকা

কলাতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, ডাইনেটিক্স ফাইবার যা আপনার ওজন বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় কলা রাখতে পারেন।

বাদাম এর ভূমিকা

বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমান প্রোটিন, শর্করা, ফ্যাট ও আঁশ। যা খুব সহজেই আপনার ওজন বৃদ্ধি করে থাকে। যে কোন ধরনের বাদাম খেতে পারেন যেমন কাজু বাদাম, পাস্তা বাদাম, চিনা বাদাম ইত্যাদি। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন চিনি বা লবন মেশানো না হয় সেদিকে।

ওজন বৃদ্ধিতে খেজুর এর ভূমিকা

খেজুরে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ডাইটেরি ফাইবার ও প্রোটিন, গ্লোকোজ যা আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখতে পারেন।

ওজন বৃদ্ধি করতে কখন কি খাবার খাবেন

সকালের খাবার

সকালে আপনি আপনার খাবারের সাথে দুধ, কলা, খেজুর ও ডিম রাখতে পারেন। আমি পূর্বেই বলেছি কোন খাবারে কি কি ভিটামিন রয়েছে সে সম্পর্কে। আপনি যদি প্রতিদিন একই খাবার খেতে না চান তাহলে তা পরিবর্তন করে একদিন একটি অন্যদিন আরেকটি এভাবেও খেতে পারেন কোন সমস্যা নাই।

দুপুরের খাবার

দুপুরের খাবারে অবশ্যই ভাত রাখতে হবে। এর সাথে ডাল (ঘন), মুরগির মাংস, আলু রাখতে পারেন। ডাল কম দামি ও সহজলভ্য খাবার হলেও এতে রয়েছে প্রোটিন, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও টক দই। আপনি মিস্টি দই খেতে পারেন তবে এর মধ্যে প্রচুর পরিমান চিনি ও চর্বি থাকায় টক দই খাওয়া অনেক ভাল। যা আপনার ওজন বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

রাতের খাবার

দুপুরের খাবারে ন্যায় আপনি রাতের খাবারেও একই মেনু যোগ করতে পারেন।

নাস্তা

নাস্তায় আপনি বাদাম (চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পাস্তা বাদাম যা চিনি ও লবন মুক্ত হতে হবে), কিসমিস, বিভিন্ন ধরবের বীজ যেমন কুমড়া, সূর্যমুখি বীজ এগুলো আপনার ওজন বৃদ্ধি করে থাকে।

ব্যম করা

আমাদের মধ্যে অনেকেরই ধারনা ব্যম করলে ওজন কমে যায়। কিন্তু না আপনি শুধু ভাল খেলে আর শারীরিক পরিশ্রম না করলে উক্ত খাবারগুলো আপনার ভূরিতে ও শরীরে চর্বি হিসাবে যোগ হতে পারে। এতে ওজন বাড়ে ঠিক কিন্তু মার্সেলে না। যা অসস্তির কারন হতে পারে।

পর্যাপ্ত ঘুম ও পানি পান করা

ওজন বৃদ্ধি করতে হলে আপনাকে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। ঘুমানোর কোন বিকল্প নাই। প্রতিদিন আপনাকে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করতে হবে।

উপসংহার

অনেকের কাছে মোটা হওয়া স্বপ্নের মত। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনি সঠিক ভাবে মোটা হচ্ছেনকিনা নাকি খাবারগুলো ভুরি ও চর্বিতে যোগ হচ্ছে কি না সেদিকে। আর মোটা হওয়ার জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ করা অতিব জরুরী। কোন অবস্থাতে মোটা হওয়ার ফাইল বা ঔষধ খাওয়া ঠিক নয়।

লেখকের মন্তব্য:
আপনি নিয়মিত সুষম খাবার গ্রহণ করার পরেও যদি আপনার ওজন বৃদ্ধি না পায় তাহলে আপনাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। এবং ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চলতে হবে। আশা করি পোস্টটি পড়ে উপকৃত হবেন। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পেতে আমাদের পেজে ঘুরে আসতে পারেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপডেট ব্লগ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন; প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url