চিকেন পক্স এর লক্ষণ ও প্রতিকার

বর্তমান বিশ্বে নতুন করে এক ভাইরাস মাথা চারা দিয়ে উঠছে। সেই ভাইরাসের নাম চিকেন পক্স। এই ভাইরাসে বেশি আক্রান্তর সম্ভাবনা থাকছে শিশু ও বয়ষ্করা। ইতিমধ্যে বেস কয়েকজনের মৃত্যু ঘটিয়েছে এই চিকেন পক্স। তাই আপনি কিভাবে বুঝবেন চিকেন পক্স এর লক্ষ্যন ও প্রতিকার ই বা কি সে সম্পর্কে জানতে খুব গুরুত্ব সহকারে এই পোস্টটি পড়ুন।

চিকেন পক্স এর লক্ষণ ও প্রতিকার
বর্তমানে কোথাও না কোথাও কোন না কোন ভাইরাস আক্রমন করে থাকে। কিন্তু বস্তকালে ও গরমের শুরুর দিকে নতুন করে এই চিকেন পক্স মানুষের মাথায় নতুন করে ভাবনার সৃষ্টি করেছে।
 
চিকেন পক্স এক ধরনের ছোয়াচে রোগ। এ রোগে আক্রান্ত রুগীর সংস্পর্শে যে কেউ আসলে সেও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এটি শারা শরীরে ছোট ছোট ফুসকার মত হয়ে থাকে। হাতে, পিঠে, মুখে সহ শারা শরীরে হয়ে থাকে। এ রোগ থেকে নিজে কিভাবে বাচবেন এবং কিভাবেই বা বাচাবেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সে সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত।

চিকেন পক্স এর লক্ষ্যন

চিকেন পক্স আক্রান্ত রুগীদের মাঝে যে লক্ষ্যনগুলো স্বাভাবিক ভাবে লক্ষ্য করা যায় মধ্যে উল্লেখযোগ্য লক্ষ্যন হলো জ্বর, সারা-শরীর ব্যথা, মুখে অরুচি, খেতে অনিহা প্রকাশ, পেটর সমস্যা। এর সাথে শারা শরীরে ছোট ছোট ফুসকা ও শারা শরীরে বাড়তে থাকে চুলকানী ও অসর্জ যন্ত্রনা। তবে এই সমস্যা সাধারণত ৭ দিন স্থায়ী হয়ে থাকে পুরো পুরো সারতে সময় লাগে ২১ দিন।
 
এটি এক ধরনের ছোয়াচে রোগ। এই রোগ বায়ুর মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। তাই এ রোগে আক্রান্ত রুগী থেকে যতটা সম্ভব দুরে থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

চিকেন পক্স প্রতিকারের উপায়

এখন আসুন কোন কোন উপায় অবলম্বন করে এ রোগ থেকে বাচতে পারা যায় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

নিম পাতার ব্যবহার

চিকেন পক্স থেকে বাচতে নিম পাতার জুরি মেরা ভার। এই জন্য আপনি আপনার খাদ্য তালিকার মধ্যে নিম পাতা রাখতে পারেন। নিম পাতার মধ্যে রয়েছে অনেক এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা বিভিন্ন ধরনের ভায়রাস ও ব্যকটেরিয়া নিরাময়ক হিসাবে খুব ভাল কাজ করে। আপনি চাইলে নিম পাতা বেটে আপনার শারা শরীলেও লাগাতে পারেন। এটি স্বাদে খুব তিতা হলেও এই চিকে পক্স ব্যধি থেকে খুব সহজে আরাম দিতে কার্যকর।

তেতো সবজি

তেতো সবজি বলতে করলাকেই আমরা বুঝিয়ে থাক। করলা থেকে শুরু করে সজনে ফুল ও খুব ভাল কাজ করতে পারে। তাই আপনি আপনার প্রতিদিনের খাদ্য থালিকায় করলা ও সজনে ফুলের মত তেতো সবজি রাখতে পারেন।

পরিষ্কার জামা কাপড় পরিধান

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা জামাকাপড় পড়ার পর সেই পরিধানকৃত জামা কাপড় সঠিক সময় পরিষ্কার করে না। তাই আপনি এ সময় অবসশ্যই সঠিক সময় জামাকাপড় পরিষ্কার করুন এবং সব সময় পরিষ্কার জামাকাপড় পরিধান করুন।

বাইরের খাবার না খাওয়া

বর্তমানে আমরা বাইরের খাবার খেতে অভস্ত হয়ে পড়েছি। বিভিন্ন ফাস্ট ফুড, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি বিভিন্ন মুখরুচি খাবার ইত্যাদি। এগুলো আপনার রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই এগুলো পরিহার করে বাড়িতে তৈরি পুস্টিকর খাবার গ্রহণ করুন।

চিকেন পক্স আক্রান্ত রোগী কি কি করবেন

চিকেন পক্স এমন এক ধরনের ভাইরাস যা আপনি অনেক শতর্ক থাকার পরেও আপনার শরীরে হতে পারে। তাই আপনাকে কি কি করতে হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

প্রথম করনীয়ঃ চিকেন পক্সে আক্রান্ত রোগীর শরীর সব সময় ঠান্ডা রাখা জরুরী। তাই আপনাকে নিয়ম মেনে গোসল করতে হবে তাই বলে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করবেন না, সাভাবিক পানি দিয়ে গোসল করবেন।

দ্বিতীয় করনীয়ঃ গোসলের সময় নিম পাতা দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিন এর পর সেই পানি সনিয় পর্যায়ে আসলে তার পর সেই ফুটানো পানি দিয়ে গোসল করুন। কারন নিম পাতায় রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যা দ্রুত আপনার শরীরের পক্স ভাল করতে সাহায্য করে।

তৃতীয় করণীয়ঃ চিকেন পক্সে আক্রান্ত রোগীর ঘন ঘন জ্বর ওয়ার ঝুঁকি থাকে। সেই জন্য বড়রা প্যারাসিটামল খেতে পারেন তবে শিশুদের জন্য অনুমানের উপর ভীত্তি করে কোন ঔষধ খাওয়াবেন না সেই জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

চতুর্থ করনীয়ঃ এ সময় শরীরে ব্যথা থাকে। তাই আপনি এ ব্যথার হাত থেকে মুক্তি পেতে বারবার ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছতে পারেন। তবে অবশ্যই নরম সুতির কাপড় ব্যবহার করবেন। এর পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তিতে পাতলা সুতির কাপড় পরিধান করাতে হবে। তা না হলে শরীরে চুলকানি ও অস্বস্তি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পঞ্চম করনীয়ঃ শরীরে পক্স হলে চুলকানি বেড়ে যায়। তাই ভুলের চুলকাবেন না। তা না হলে সংক্রমন বেড়ে যেতে পারে এবং শরীরে দাগের সৃষ্টি হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের হাতের নখ ছোট করে কেটে দিতে হবে।

ষষ্ঠ করনীয়ঃ চিকেন পক্সে আক্রান্ত রুগীরা খাবারের ব্যপারে সর্তক হতে হবেন। যে সকল খাবার পরিহার করা যাবেনা তা হলো চর্বিজাতীয় খাবার যেমন মাখন তেল, বাদাম, পনির, নারিকেল বা চকলেট যাতীয় খাবারে অতিরিক্ত ফ্যাট থাকে। তাই আপনি এ যাতীয় খাবার পরিহার করুন। এছাড়াও অতিরিক্ত মসলা যাতীয় খাবার ও তেল বেশি দিয়ে কোন খাবার খাবেন না।

লেখকের মন্তব্য: আশা করি উপরোক্ত তথ্য আপনাকে সহায়তা করবে। চিকেন পক্স হলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পেতে আমাদের পেজকে ফলো করুন। এ পোস্টের মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকলে আপনি এই পোস্টটি অন্যকে শেয়ার করে তাদেরকেউ উপকৃত করুন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপডেট ব্লগ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন; প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url