পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর সমুদ্র সৈকত এর তালিকা
পৃথিবীর সৌন্দয্যের কোন শেষ নাই। একজন ভ্রোমন পিপাসুর কাছে সৌন্দর স্থানের মধ্যে বিচ বা সমুদ্র সৈকত অন্যতম একটি ঘুরতে যাওয়ার স্থান। এমনই কিছু পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর সমুদ্র সৈকত এর তালিকা তুলে ধরবো এই পোস্টএর মাধ্যমে। তাই গুরুত্ব সহকারে পুরো পোস্টটি পড়ুন আশা করি উপকৃত হবে।
সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর সৌন্দয্যের একটি অন্যতম স্থান। সৈকতে বেড়াতে ভালবাসেনা এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবেনা। সমুদ্রের কাছে গেলে নিজেকে তার সাথে উসর্গ করে দিতে ইচ্ছে করে। মন চাই সারাক্ষন সেখানে বসে থাকি।
ভূমিকা
সমুদ্র সৈকত বিধাতার সৃষ্টির মধ্যে এক অনন্য সৃষ্টি। সমুদ্র সৈকতে গেলে নিজের মন আপনাআপনি সতেজ ও সুন্দর হয়ে উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় যারা ভ্রমন পিপাসু তারা প্রতিবছর ছুটে চলে কোন না কোন বিচ বা সমুদ্র সৈকতে। তাই নিচে কিছু সুন্দর সমুদ্র সৈকত এর তালিকা উল্লেখ করা হলো যা পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম।এই বিচটি বাহামাসের সবথেকে অন্যতম সুন্দর একটি বিচ। এই বিচটি বাহামাসের ছোট আইল্যান্ডের পাশে অবস্থিত। এই বিচটি ৫ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। আর এর সব থেকে সুন্দর বিশেষত্ব হলো এই বিচটির বালিগুলো গোলাপী রং এর হয়ে থাকে যা অন্য কোথায় দেখা যায়না। এই বিচটির পানি অনেক স্বচ্ছ যা আপনাকে সাঁতার কাটতে বাধ্য করে। তবে এই বিচটির বালি প্রাকৃতিকভাবে গোলাপী রং এর নয় মুলত এটি সাদা বর্নের। ফোরাফিরি নামক সামুদ্রিক প্রাণির খোলষ ভেঙ্গে পানির সাথে মিশে এই বিচে এসে বালির সঙ্গে মিশে গোলাপী বর্ণের হয়ে যায়। এছাড়াও এই বিচের আশে পাশে রয়েছে অনেক রির্সোট যা আপনাকে খুব সহজেই মুগ্ধ করবে।
শেল বিচ, অস্ট্রেলিয়া
এই বিচ কোটি কোটি শেল থেকে তৈরি এই বিচ। শার্কবো হেরিটাইজ এলাকার এই বিচটি রোদে থাকা ও সাঁতার কাটার জন্য খুব উপযোগী। শেল বিচ পৃথিবীর কয়েকটি এলাকার মধ্যে একটি যেখানে শেলগুলি খুব নরম উপায়ে বিচে পালির পরিবর্তে নিজে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে রাখে। ১০০ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ এই বিচে সর্বত্র শুধু শেল দেখা যায়। যা পানির নিচেও ৭ থেকে ১০ মিটার গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত। আপনি পৃথিবীর যেখানেই হাটুন না কেন শেল বিচে হাটার মত অনুভূতি আর কোথাও পাবেন না। এর কারণ হলো এই সৈকতটি অবিশ্বাস্য ভাবে একধরনের প্রাণীর খোলশ দিয়ে তৈরি। আর এটিও হলো এই বিচের এক অন্যন্য সৌন্দর্য্য।
মাহো বিচ, স্যান্ট মার্টিন
এই বিচটি অন্য সব বিচের মত হলেও এর রয়েছে অন্য আরেক অনুভূতি। এই বিচের পাশ্বেই রয়েছে মাহো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। যেখানে প্রতিদিন বিমান উঠা নামা করে। আর এ বিচের বিশেসাত্ব হলো যখন এই এয়ারপোর্টে বিমান ল্যান্ড করে তখন বিমান এতটা নিচ দিয়ে যায় বিচে থাকা পর্যটক বিমানের বাতাসে উড়ে যাওয়ার অবস্থা হয়ে পড়ে। যদিও এখানে বিমান ল্যান্ড করার সময় থাকা নিষিদ্ধ তবুও মানুষ এই অনুভূতিটি নেওয়ার জন্য এখানে পাড়ি জমায়।
প্লায়া দেল আমোর, মেক্সিকো
মারিয়া আইল্যান্ডে অবস্থিত প্লায়াদেল আমোর বিচটি হিডেন বিচ নামেও পরিচিত। এটি প্রশান্ত মহাসাগরের নিল পানির সাথে প্রসস্ত একটি বালুকাময় গোহার মতো দেয়া যায়। ধারনা করা হয় কোন এক সময় মিলিটারী বোমার কারনে এই বিচটি এমন গর্তের সৃষ্টি। ১৯ শের দশকে বিচটি জনবসতীহিন মেক্সিকো সরকার এখানে মিলিটারী টেস্ট করতেন। তবে এই বিচ টি প্রাকৃতিক কারনেও এমন হতে পারে। হিডেন বিচটি বাহিরে থেকে দেখা যায়না। এর মধ্যে যাওয়ার শুধু একটি রাস্তা রয়েছে। আর সেটি হলো লম্বা একটি পানি বেষ্টিত সুড়ঙ্গ। যেটি এই বিচটিকে প্রশান্ত মহাসাগরের সাথে যুক্ত করেছে। তবে এখানে যেতে ভয়ের কোন কারন নাই। এই বিচে যাওয়ার সুড়ঙ্গে পানির উচ্চ ৬ ফিটের মতো হয়ে থাকে। তাই অনেকে এখানে সাতার কেছে বা হেটেও যেতে পানের। এই বিচটি জনবসতীহিন থাকলে এখানে পর্যটনের ভিট থাকে সারাক্ষন।
গ্লাস বিচ, ক্যালিফোনিয়া
ক্যালিফোনিয়া ফোড ব্লগের সামরিক ঘাটির কাছে ম্যাগকেলিচার স্টেড পার্কের কাছে এই বিচটি অবস্থিত। এই বিচটি মুলত বিস্তৃত ভাবে ছড়িয়ে থাকা কাঁচের টুকরার জন্য বিখ্যাত। এই কাঁচের টুকরোগুলো মুলত বিভিন্ন আবর্জনা জেল এবং বালির দ্বারা প্রাকৃতিক ভাবেই এই কাঁচের টুকরাগুলোর সৃষ্টি হয়েছে। আর সমুদ্রে অতিমাত্রায় আবর্জনার কারনে দূষনের সৃষ্টি হয়। এই অবস্থানে আসতে বিচটির সময় লেগেছে ৪০ বছর। তবে ধারনা করা যায় আগামী ৫০০ থেকে ১০০০ বছরের মধ্যে এই বিচটি প্রাকৃতিকভাবে রিসাইকেল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একজন পর্যটন চাইলেই এই অতি সুন্দর রঙ্গিন শিলাগুলো কুড়িয়ে নিতে পারে যাতে কোন বাধা নাই। এখানে থাকা শিলাগুলো বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকায় দেখতে অতি সুন্দর। আপনি চাইলে এখান থেকেও ঘুরে আসতে পারে যাওয়া সার্থক হবে।
আপডেট ব্লগ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন; প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url