সজনে পাতার উপকারিতা - সজনে পাতার উপাদানসমূহ
সজনে পাতা খুব কমন একটি জিনিস কিন্তু এর মহত্য রয়েছে অনেক। বিজ্ঞানিগণ একে মহা ঔষধ হিসাবে গণ্য করেছে। এর মধে রয়েছে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান যেগুলো মানব শরীরের জন্য বিশেষ উপযোগী ও প্রয়োজন। তাই আসুন সজনে পাতার উপকারিতা সমূহ সম্পর্কে জানা যাক।
সজনে পাতা মুলত সারা বছর পাওয়া যায়না। অফ সিজনে সজনে পাতা খুব কম পরিমান পাওয়া যায় বিধায় সিজনে সজনে পাতা আপনি গুড়া করে রেখে দিয়ে অফ সিজনেও এর পুষ্টিগুন পেতে পারেন খুব সহজে। তাই সজনে পাতা আপনি কিভাবে খাবেন, সজনে পাতা খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় সে সম্পকে জানতে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
সজনে গাছ মুলত ভারতীয় উপমহাদেশ সহ বাংলাদেশ প্রচুর পরিমান পাওয়া যায়। মুলত এটি গ্রামে বেশি পরিমান পাওয়া যায়। গাছটি দেখতে খুবএকটি মোটা নয় এবং এর ডাল গুলো খুব হালকা হয়ে থাকে। এর পাতা গাড় সবুজ ও ছোট ছোট দেখা যায় এবং পাতা ছোট ছোট ডালে চিরল চিরল হয়ে ধরে।সজনে পাতার উপাদানসমূহ
সজনে পাতা বিভিন্ন উপাদানে পরিপূর্ণ। যা মানব শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আসুন সজনে পাতায় যে সমস্ত উপাদানগুলো রয়েছে সে সম্পর্কে ধারনা নেওয়া যাক।আরো পড়ুন: কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা
সজনে পাতায় রয়েছে ২৭% আমিষ, ৩৮% শর্করা, ২% ফ্যাট ও ১৯% আঁশ। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমান ক্যালশিয়াম অর্থাৎ গরুর দুর্ধের সমপরিমান। আপনি গরুর যে দুধ খেয়ে থাকেন মুলত আমিষ ও ক্যালশিয়ামের জন্য। সে পরিমান ক্যালশিয়াম ও আমিষ সজনে পাতার মধ্যেও রয়েছে। অর্থাৎ সজনে পাতা ও গরুর দুধের মধ্যে উপদানের কোন পার্থক্য নাই।
সজনে পাতায় রয়েছে ২৭% আমিষ, ৩৮% শর্করা, ২% ফ্যাট ও ১৯% আঁশ। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমান ক্যালশিয়াম অর্থাৎ গরুর দুর্ধের সমপরিমান। আপনি গরুর যে দুধ খেয়ে থাকেন মুলত আমিষ ও ক্যালশিয়ামের জন্য। সে পরিমান ক্যালশিয়াম ও আমিষ সজনে পাতার মধ্যেও রয়েছে। অর্থাৎ সজনে পাতা ও গরুর দুধের মধ্যে উপদানের কোন পার্থক্য নাই।
আরো পড়ুন: পাইলস এর লক্ষন-পাইলস ভাল করার উপায়
এছাড়াও সমপরিমান ওজনের কমলা লেবুর ৭ গুন ভিটামিন সি, গাজরের ৪ গুন ভিটামিন এ এবং কলার ৩ গুন পটাশিয়াম রয়েছে এ সজনে পাতার মধ্যে। সজনে পাতার মধ্যে রয়েছে ৩১% আমিষ, ৬১% ম্যাগনেশিয়াম, ৪১% পটাশিয়াম, ৭১% আয়রন ও প্রচুর পরিমান রয়েছে ভিটামিস এ এবং ভিটামিন সি।
লেখকের মন্তব্য: সজনে পাতার উপকারিতা অস্বিকার করা সম্ভব নয়। তাই সজনে পাতা মহা ঔষধীগুন আমাদের প্রয়োগ করা জরুরী। আশা করি এ পোস্টটির মাধ্যমে আপনার উপকারিতা হবে আশা করছি। তাই অন্যকেও এ পোস্ট থেকে উপকৃত হতে এই পোস্টটি শেয়ার করুন। ধন্যবাদ
এছাড়াও সমপরিমান ওজনের কমলা লেবুর ৭ গুন ভিটামিন সি, গাজরের ৪ গুন ভিটামিন এ এবং কলার ৩ গুন পটাশিয়াম রয়েছে এ সজনে পাতার মধ্যে। সজনে পাতার মধ্যে রয়েছে ৩১% আমিষ, ৬১% ম্যাগনেশিয়াম, ৪১% পটাশিয়াম, ৭১% আয়রন ও প্রচুর পরিমান রয়েছে ভিটামিস এ এবং ভিটামিন সি।
সজনে পাতার উপকারিতা
এক কথায় বলা যায় সজনে পাতা এমন একটি উপাদান যার উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না। এটি বিজ্ঞানিদের মধ্যে ভেষজ ঔষধের মধ্যে একটি অন্যতম ঔষধ। আসুন সজনে পাতার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে জানা যাক।কলেষ্টোরেল ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রনে সজনে পাতা
কারো যদি কলেষ্টোরেল বা হৃদরোগের মত সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত সজনে পাতার পাওডার খেতে পারলে বা সজনে পাতার রস খেতে পারলে খুব দ্রুত কলেষ্টোরেল ও হৃদরোগের মত রোগসমূহ খুব সহজে দূর হয়ে যায়।ত্বক ও চুল যত্নে সজনে পাতা
সজনে পাতার মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিভিন্ন উপদানের কারনে আপনার ত্বক ও চুলের সৌন্দয্যে সজনে পাতার উপকারিতা অনসিকার্য। সজনে পাতা আপনার ত্বকের উজ্জলতা ও সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে এর সাথে সাথে চুল পড়া বন্ধ করে চুলের গোড়া শক্ত করতেও সহায়তা করে।লিভার ভাল রাখতে সজনে পাতা
কেউ যদি লিভার রোগে বা লিভার জনিত সমস্যায় থাকে তাহলে সজনে পাতার জুস বা সজনে পাতার গুড়া খেতে পারে। কেউ নিয়মিত এই উপাদানটি খেতে পারে তাহলে তার লিভারের রোগ হওয়ার আশংকা থাকে অনেক কম।পেট পরিষ্কার রাখতে সজনে পাতার উপকারিতা
কারো যদি হজমের সমস্যা থাকে, পেট ফাপা, অম্বোলের সমস্যা, গ্যাসটিকের সমস্যা থাকে তাহলে সজনে পাতার রস খুব উপকারি। সজনে পাতার রস ও এর সঙ্গে স্বাদ বাড়ানোর জন্য বিট লবন, মরিচ ইত্যাদি মিশিয়ে খেতে পারলে আপনার পেট পরিষ্কার রাখতে সজনে পাতা বিশেষ ভুমিকা রাখে।হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে সজনে পাতা
সজনে পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমান ক্যালশিয়াম। যা আপনার হাড়ের গঠন ও দাঁত মজবুত রাখতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে।ফ্যাট কমাতে
অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি কার ভালো লাগে। তাই অতিরিক্ত ফ্যাট কমানোর জন্য সজনে পাতার জুরি মেরা ভার। এজন্য সজনে পাতাকে ফ্যাট কাটার হিসাবে ধরা যেতে পারে। আপনি যদি সজনে পাতার গুড়া নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে আপনার ফ্যাট হওয়া তো দুরের কথা শরীরে যে অতিরিক্ত ফ্যাট রয়েছে তাও দুরে চলে যাবে।ওজন নিয়ন্ত্রণে
কারো যদি ওজন নিয়ে চিন্তার কারন হয়ে থাকে তাহলে আর চিন্তার কোন কারন নাই। কেউ যদি নিয়মিত সজনে পাতার গুড়া বা সজনে পাতার রস খেতে পারে তাহলে এটি পেটে খিদা লাগা দুর করতে সহায়তা করে এবং এর ফলে ওজন খুব দ্রুত নিয়ন্ত্রনে আনা যায়।দাঁতের মাড়িফোল বা রক্তপড়া দুর করতে
কারো দাঁতের গোড়া যদি ফোলা সমস্যা থাকে এবং মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে তাহলে নিয়মিত সজনে পাতা পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে নেওয়ার পর সে পানি দিয়ে কুলকুচি করতে পারে তাহলে উক্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে
বর্তমানে উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা ব্যপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারো যদি এ ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে তাকে নিয়ম মেনে দিনে দুইবার খাবারের আগে সজনে পাতার রস ২ চামচ করে খেতে পারে তাহলে এ ধরনের সমস্যা দুর হয়ে যায়। ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে খাওয়া যাবেনা।জ্বর ও সর্দি লাগা ভাল করতে
কারো যদি জ্ব ও সর্দি লেগে থাকে এবং এর ফলে শরীরের প্রচুর পরিমান ব্যথা অনুভূত হয়ে থাকলে সজনে পাতার শাক ও সজনে পাতার রস খেতে পারে তাহলে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।চোখের দৃষ্টিতে সজনে পাতা
সজনে পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন এ। তাই কারো যদি চোখের দৃষ্টি জনিত সমস্যা থাকে তাহলে সে যদি সজনে পাতা খেতে পারে তাহলে তার চোখের দৃষ্টিজনিত সমস্যা থাকলে তা ভালো য়ে যাবে।হাটুব্যথা দুর করতে
আপনার হাটুতে যদি ব্যথা অনুভত হয় এছাড়াও শরীরের অন্য যেকোন ব্যথা নাশকে সজনে পাতা খুব কাজে লাগে।শরীরের ক্ষতিকারক টকসিন দুর করতে
আমাদের শরীরের বিভিন্ন কোষের মধ্যে অনেক ক্ষতিকারন টকসিন সৃদ্ধি হয় যা আমাদের শরীরে থাকার ফলে আমাদের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা লোপ পায় আর এ সজনে পাতা আমাদের রস খাওয়ার ফলে এ সকল খারাপ ক্ষতিকারক টকসিনগুলো ধ্বংস করে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।সজনে ফুলের উপকারিতা
সজনে পাতার পাশাপাশি সজনে ফুলও আমাদের বিভিন্ন উপকারে আসে। সজনে ফুলের রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে মূত্র পাথরী দুর হয় এছাড়াও হাপানি, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি, কাম শক্তি বৃদ্ধি, হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে ব্যবপক ভাবে ভাল ফল দেয় সজনে ফুল।ফজনে ডাটার উপকারিতা
সজনের কচি ডাটা কৃমি নাশক এর ক্ষেত্রে খুব ভাল কাজ করে। এছাড়াও লিভার ভালো রাখে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ, শাষকষ্ঠ, মাথা ব্যথা দুরকরে এবং শরিরের রক্ত বৃদ্ধি করতে ভুমিকা রাখে। সজনে বীজের তেল আমাদের শরীরের বাথ ব্যাথা দুর করে, বিভিন্ন ব্যথা থাকলে তা মালিশের মাধ্যমে ভাল করে থাকে।সজনে পাতা খাওয়ার পদ্ধতি
আমরা বিভিন্ন ভাবে সজনে পাতা খেতে পারি। তবে সবথেকে ভাল পদ্ধতি হলো সজনে পাতার কচি পাতাগুলো বিলিন্ড করতে সেখানে পরিমান মত পানি স্বাদ বাড়ানোর জন্য মরিচ, আদা, রসুনের কোয়া খুব ভাল ভাবে বিলিন্ড করে নিয়ে তা ছেকে নিন। এর পর তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন।সজনে পাতা গুড়া করার পদ্ধতি
অফ সিজিনে সজনে পাতার উপকারিতা পেতে কচি সজনে পাতাগুলো ভালভাবে রোদে শুকিয়ে তা গুড়া করে পরিষ্কার করে একটি পরিষ্কার কোটার মধ্যে সংরক্ষন করে ৬ মাস পর্যন্ত রেখে খেতে পারেন।সজনে পাতা রান্ন করে খাওয়ার পদ্ধতি
সজনে পাতা সিদ্ধ করে ভর্তা করে খেতে পারেন এছাড়াও এটিকে শাক হিসাবেও খেতে পারেন। তবে মনে রাখবেন সজনে পাতা সিদ্ধ করে খেলে এর গুনাগুন কমতে থাকে।উপসংহার
সজনে পাতা খুব গুরত্বপূর্ণ একটি ভেষজ ঔষধী গুনে পরিপূর্ণ। তাই আপনি একে এরিয়া যাবেন না। প্রাকৃতিক উপায়ে সুস্থ থাকতে সজনে পাতার ভূমিকা অপরিসীম। যদিও সজনে পাতা গ্রামে ব্যপক আকারে পাওয়া যায় তবে এখন শহরেও বাড়ির ছাদে সজনে গাছ ব্যপক হারে দেখা যাচ্ছে।লেখকের মন্তব্য: সজনে পাতার উপকারিতা অস্বিকার করা সম্ভব নয়। তাই সজনে পাতা মহা ঔষধীগুন আমাদের প্রয়োগ করা জরুরী। আশা করি এ পোস্টটির মাধ্যমে আপনার উপকারিতা হবে আশা করছি। তাই অন্যকেও এ পোস্ট থেকে উপকৃত হতে এই পোস্টটি শেয়ার করুন। ধন্যবাদ
আপডেট ব্লগ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন; প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url