করলা খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন
করলা খুব পরিচিত একটি নাম যাকে ইংরেজীতে Bitter Gourd লা হয়। করলা বা করলা রস আমাদের অনেক উপকার করে থাকে। যারা করলা এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তার জন্য আজকের পোস্ট। তাই করলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে এই পোস্টটি গুরুত্বসহকারে পড়ুন।
করলা আমরা দুই ভাবেই খেতে পারি। এটিকে আমরা সবজি হিসাবেও খেতে পারি আবার এর জুস তৈরি করেও খাওয়া যায়। সেই জন্য করলা আমার সবজী তালিকায় রাখা খুব জরুরী।
ভূমিকা
করলা যার স্বাদ তিতা হলেও এর উপকার রয়েছে অনেক। এটি আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে এবং আমাদের সুস্থ রাখার জন্য বিশেষ একটি উপকারী সবজী হিসাবে ধরে নেওয়া যায়। করলা বর্তমানে দুই এক মাস ব্যতীত প্রায় সরা বছর এটি পাওয়া যায়।করলা খাওয়ার উপকারিতা
করলা বা করলা রস খাওয়ার ফলে এটি যেমন আমাদের বিভিন্ন দিক থেকে সুস্থ রাখে তেমনি এটি আমাদের তারুন্ন ধরে রাখে অনেক দিন। আসুন করলা বা করলা রস খাওয়ার উপকারিতা সমূহ জেনে নেওয়া যাক।আরো পড়ুন: সজনে পাতার উপকারিতা
এছাড়াও করলা পাতার রস শরীরে জ্বরজ্বর ভাব হওয়া, শরীর কামড়ানো, বমি বমি ভাব হওয়া ইত্যাদি সমস্যা থাকলে করলা পাতার রস গরম পানির সাথে মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খেলে উপকার পাওয়া যায়।
লেখকের মন্তব্য: প্রিয় পাঠক আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছে। যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের সাইডের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলো পড়তে পাড়েন। ধন্যবাদ
শ্বাষ রোগ দূর করে
কারো যদি শ্বাষকষ্ট রোগ থেকে থাকে তাহলে আপনি নিয়মিত করলা খেতে পারেন। এর এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের দূষন দুর করে ও হজমশক্তি বৃদ্ধি করে পানির সঙ্গে মধু ও করলা রস মিশিয়ে খেলে এ্যাজমা ও ব্রনকাইটিস এ ধরনের সমস্যা থাকলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।তারুন্ন ধরে রাখতে
করলা উচ্চ রক্তচাপ ও চর্বি কমাতে সাহায্য করে এবং করলার রস কৃমিনাশক ও দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখে। যারা রক্ত শ্বল্পতায় ভুগছে তাদের জন্য খুব উপকারী হলো করলা। করলা শরীরের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে রক্ত তৈরি করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। করলাতে থাকা ভিটামিন সি যা ত্বক ও চুলের জন্য খুব উপকারী। এর বড় উপকারীতা হলো এটি বাধ্যর্ক ধরে রাখে।মাথা ব্যাথা দুর করতে
করলা মাথা ব্যথা জন্য ভাল কাজ করে। এটি শরীরের বিষাক্ত উপাদান বের করে দিয়ে থাকে এবং মাথা ব্যথা হলে তার ভাল উপশম পাওয়া যায় করলা থেকে।হজমে স্বস্তি আনে
করলা হজমে স্বস্তি আনে এটি কোষ্ট্যকাটিন্য দুর করতে এর ভূমিকা অনেক, এটি পরিপাক তন্ত্রের জটিলতা দুর করতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত করলা খেতে পারেন।শক্তি বর্ধক
করলার রস শক্তি বর্ধক হিসাবে কাজ করে। এটি ইস্টেমিনার বাড়ানোর পাশাপাশি ভাল ঘুম হওয়ার জন্য কাজ করে।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে
করলায় রয়েছে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট ও রক্তে চিনি কমানোর উপাদান। তাই যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারা রক্তে চিনি কমানোর জন্য নিয়মিত করলা খেতে পারেন। এটি খুব ভাল কাজ করে।রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধিতে
করলা রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধিতে দারুন কাজ করে। শরীরের যে কোন সংক্রমনের বিরুদ্ধে কাজ করতে এটি সাহায্য করে।সুগার নিয়ন্ত্রনে
সুগার নিয়ন্ত্রনে করলার ভূমিকা অনেক। করলা এডোনোসিন মনো ফসফেট একটিভেকটেড প্রোটিন কাইনেজ নামক এনজাইমেন মাত্রা বৃদ্ধি করে রক্ত থেকে শরীরের কোষগুলো সুগার নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। এটি শরীরের কোষের বিপাক্রিয়া বাড়ায় ফলে রক্তে সুগার এর মাত্রা কমে।ক্যান্সার প্রতিরোধে
করলায় রয়েছে যথেষ্ট পরিমান লোহ, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং আশ জাতীয় উপাদান। এটি এন্টি অক্সিডেন্ট ভিটামিন এ এবং সি যা বাধ্যর্ক বিলম্বিত করে।হার্ড এ্যাটাক রোধ করতে
করলায় শরীরের চর্বী কমায় এবং ভাল কোলেস্টোরেল এইচডিএ বৃদ্ধি করে। এটি নিয়ন্ত্রন করে রক্তচাপ তাই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ বলেছেন নিয়মিত করলা খেলে উচ্চ রক্তচাপ দুর হয় যার ফলে হার্ড এ্যাটাক জনিত সমস্যা দুর হয়ে থাকে।খাবারে রুচি আনে
করলা খাবারে রুচি আনতে সাহায্য করে। কারো যদি খাবারে অরুচি থাকে তাহলে সে পুষ্টিহিনতায় ভূগে। তাই করো যদি খাবারে অরুচি থাকলে তাহলে সবাল বিকাল করলার রস এক চামক করে খেলে খাবারে রুচি আসে।ম্যালেরিয়া দুর করতে
ম্যালেরিয়ায় করলা পাতার রস খুব উপকারে আসে। এইজন্য ম্যালেরিয়া রুগীকে দিনে তিনটি করলা পাতা ও ৩.৫ টি গোলমরিচ এক সঙ্গ পিসে সাত দিন নিয়মিত খেলে ম্যালেরিয়া রোগ ভাল হয়। করলা পাতার রস খেলে জ্বর ভাল হয় এবং এটি কৃমি নাষক।বাথ ব্যথা নিরাময়ে
শরীর থেকে বাথ ব্যথা দুর করার জন্য চার চা চামচ করলা পাতার রস ও গরম করে খাটি ঘি এর সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ম করে ভাতের সাথে খেলে শরীর থেকে বাথ ব্যথা দুর হয়।এছাড়াও করলা পাতার রস শরীরে জ্বরজ্বর ভাব হওয়া, শরীর কামড়ানো, বমি বমি ভাব হওয়া ইত্যাদি সমস্যা থাকলে করলা পাতার রস গরম পানির সাথে মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খেলে উপকার পাওয়া যায়।
উপসংহার
করলা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সবজি। তাই আমাদের উপরে উল্লেখিত উপকারগুলো পাওয়ার জন্য নিয়মিত করলা খাওয়া উচিত। যারা করলা খায়না তারা নিয়মিত করলা খাওয়ার চেষ্টা করুন। এবং খাবারে সবজি হিসাবে এই করলাকে রাখুন।লেখকের মন্তব্য: প্রিয় পাঠক আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছে। যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের সাইডের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলো পড়তে পাড়েন। ধন্যবাদ
আপডেট ব্লগ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন; প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url