পেঁপেঁ পাতার উপকারিতা
প্রিয় পাঠক আশা করি ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যা খুব ইন্টারেস্টিং হতে চলেছে। ঠিক ই পড়েছেন আপনি কিভাবে ঘরো পদ্ধতিতে কোন প্রকার খারাপ প্রভাব ছাড়াই আপনার শরীরের ঘাতক রোগ নিরাময় করবেন তা নিয়ে। তাই আপনি জেনে নিন পেঁপে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
বাজারে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের ঔষধ যা অনেক ব্যয় বহুল এবং সকলের সাধ্যের মধ্যেও থাকেনা। এছাড়াও এ থেকে ডাইফিকেট তৈরিতেও শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই আপনি যদি ঘরো পদ্ধতি ভেজস ঔষধ তৈরি করে খেতে পারেন তাহলে সাইডিফিক সাড়াই আপনি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে পারবেন।
ভূমিকা
পেঁপেঁ গাছ একটি সহজলভ্য গাছ। এটি গ্রাম গঞ্জের আনাচে কানাচে জন্মে থাকে। পেঁপেঁ পাতা তাই খুব সহজেই সংগ্রহ করা সম্ভব। পেঁপেঁ পাতাতে থাকা গুরুত্বর্পূ উপাদানের কারনে আপানার শরীরের বিভিন্ন রোগ সমাধান করা সম্ভব। তাই আসুন কিভাবে পেঁপেঁ পাতা আপনার শরীরের রোগ নিরাময় করবে এবং আপনি কিভাবে তা সেবন করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচ করি।আরো পড়ুন: আমগাছে অধিক মুকুল আনার উপায়
পেঁপেঁ পাতাতে থাকা বিভিন্ন উপাদান
পেঁপে পাতাতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, কে, বি এছাড়াও এতে রয়েছে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন। এতেই আপনি বুঝতে পারছেন এটি কি পরিমান গুরুত্বপূর্ণ। এতগুলো উপাদান থাকার কারনে পেঁপেঁ পাতার রস আপনার শরীরের বিভিন্ন ঘাতক রোগ সারাতে খুব গুরুত্বপূর্ণ।পেঁপেঁ পাতার উপকারিতা
বিভিন্ন রোগ শারিয়ে পেঁপেঁ পাতা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে পেঁপেঁ পাতা। আসুন পেঁপেঁ পাতার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা যাক।লিভার রোগে পেঁপেঁ পাতা
লিভারের জন্য পেঁপেঁ পাতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি লিভার সমস্যায় জন্ডিস ও লিভার সিরোসিস এ ভুগেন তাহলে টানা তিন মাস পেঁপেঁ পাতার রস সেবন করেন তাহলে এ ধরনের সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন। এতে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে খুব কার্যকরী। পেঁপেঁ পাতার রস আপনার শরীরের সুগার নিয়ন্ত্রন করে। যার ফলে এটি লিভারের ও ডায়াবেটি এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে।আরো পড়ুন: কোলাজেন বৃদ্ধির উপায়
এছাড়াও পেঁপেঁ পাতাতে রয়েছে কার্পেইন নামক এক ধরনের উপাদান। যা দেহে প্রবেশ করে দেহের মধ্যে থাকা টকসিন ধ্বংস করে বের করতে পারে এবং মাইক্রো অর্গানিজম দেরও মেরে ফেলসে সাহায্য করে। যার ফলে শরীর থাকে সুস্থ ও রোগ মুক্ত।
পেঁপেঁ পাতা আপনি নিয়মিত খেতে শুরু করলে আপনার শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময় হতে আপনা আপনি শুরু করে দিবে। যেমন আপনার শরীরের বিভিন্ন ব্যাথা, টকসিন জমে থাকার ফলে শরীরের ব্যাথা, দুর্বলতা, জয়েন্ট ব্যথা, মাথা ব্যথা, ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি সমস্যাসার সমাধান হতে থাকে।
এতে রয়েছে এন্টি ইমফ্রোমারী উপাদান যা আপনার হরমন জনিত সমস্যার সামাধানও হয়ে যাবে।
যারা ইতোমধ্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন এবং কেমে থেরাপি নিচ্ছেন তারাও এ পাতার রস সেবন করতে পারেন। কেমো থেরাপির কারনে শরীরে যে সাইডিফিক দেকা দেয় তার পাশ্বপতিক্রিয়া থেকে এর রস সমাধান দিতে পারে।
লেখকের মন্তব্য: এ পোস্টের মাধ্যমে আজ আমি আপনাদের মাঝে ঘরো পদ্ধতিতে কিভাবে কাজ করে পেঁপেঁ পাতার রস তা নিয়ে আলোচনা করলাম। লেখায় ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং উক্ত পোষ্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকলে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য শেয়ার করে দিবেন। ধন্যবাদ
আলসার সমস্যা সমাধানে
যারা দীর্ঘদিন ধরে আলসার সমস্যায় ভুগছেন তারা নিসন্দেহে পেঁপেঁ পাতার রস সেবন করতে পারেন। আপনি যদি টানা ৭ দিন পেঁপেঁ পাতার রস সেবন করেন তাহলে এতে থাকা এনজাইন, প্রোটিন, কার্বহাইড্রেট ও মিনারেলকে ভেঙ্গে আপনার হজম ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। এজন্য আলসার খুব সহজে দুর হয়ে যায়। এবং আলসাসের কারনে যে ক্ষত তৈরি হয় তাও পেঁপেঁ পাতার রসের মাধ্য নিরাময় করা যায়।এছাড়াও পেঁপেঁ পাতাতে রয়েছে কার্পেইন নামক এক ধরনের উপাদান। যা দেহে প্রবেশ করে দেহের মধ্যে থাকা টকসিন ধ্বংস করে বের করতে পারে এবং মাইক্রো অর্গানিজম দেরও মেরে ফেলসে সাহায্য করে। যার ফলে শরীর থাকে সুস্থ ও রোগ মুক্ত।
পেঁপেঁ পাতা আপনি নিয়মিত খেতে শুরু করলে আপনার শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময় হতে আপনা আপনি শুরু করে দিবে। যেমন আপনার শরীরের বিভিন্ন ব্যাথা, টকসিন জমে থাকার ফলে শরীরের ব্যাথা, দুর্বলতা, জয়েন্ট ব্যথা, মাথা ব্যথা, ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি সমস্যাসার সমাধান হতে থাকে।
মেয়েদের জন্য পেঁপেঁ পাতার উপকারিতা
মেয়েদের জন্য পেঁপেঁ পাতা বিশেষ উপযোগী। বিশেষ করে মেয়েদের প্রিরিয়ডের সময় বিভিন্ন সমস্যার সৃস্টি হয়ে থাকে। যেমন ব্যথা বা হরমন জনিত সমস্যায় পেঁপেঁ পাতার রস সেবনের মাধ্যমে সমাধান পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও আপনি যদি টানা ২১ দিন পেঁপেঁ পাতা সেবন করতে পারেন তাহলে আপনার অনিয়ন্ত্রিত পিরিয়ড সমাধান একে বারে দুর হয়ে যাবে।এতে রয়েছে এন্টি ইমফ্রোমারী উপাদান যা আপনার হরমন জনিত সমস্যার সামাধানও হয়ে যাবে।
বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে পেঁপেঁ পাতা
এটি শরীরে প্রবেশের পর আপনার পাচন, হজম ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। এর রস শরীরের গ্যাস, এসিডিটি, কোষ্ট কাঠিন্য, আমাশয় দর করতে সাহায্য করে। এতে থাকা এসিটোজেনিন এন্টিমেরিলিয়া উপাদান যা শরীরে প্রবেশ করার পর আপনার শরীরের এতবেশি শক্তি শালি করে যে এ ধরনের রোগ আপনার শরীরে টিকতে পারেনা।ডেঙ্গুজরে এর উপকারিতা
পেঁপেঁ পাতা ডেঙ্গু জ্বরের জন্য বিশেষ উপযোগী। ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরের প্লেটলেট কাউন্ট কমে যাতে পারে। তাই এটি রুগীর জন্য ক্ষতির কারন হতে পারে। তাই আপনি যদি দিনে ২ বার পেঁপেঁ পাতার রস সেবন করতে পারেন তাহলে শরীরে প্লেটলেট কাউন্ট বেড়ে যায় এবং রুগী আসংকা মুক্ত থাকে। এছাড়াও গায়ে ব্যাথা, অত্যাধিক জ্বর, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি সমস্যার সামাধন এই পেঁপেঁ পাতার রস।ক্যান্সার নিরাময়ে পেঁপেঁ পাতা
এটি ক্যান্সার নিরাময়েও কাজ করে থাকে থাকে। আপনি যদি কোন প্রকার উপসর্গ ছাড়াও এটি সপ্তাতে তিন দিন সেবন করতে পারেন তাহলে ক্যান্সারের সেল ধ্বংস করেতে সাহায্য করে। এটি ব্রেস্ট ক্যান্সার, প্যানক্রিয়েটিভ ক্যান্সার দুরকরতেও এটি সাহায্য করে। রোগের নমুনা দেখা দিলেও এটি সেবন করতে পারেন।হৃদরোগে পেঁপেঁ পাতা
হৃদরোগে পেঁপেঁ পাতা খুব উপকারী একটি ভেজষ। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন বি, সি, যা করোনারি হার্ড ডিজিসের যে কোন সমস্যার সমাধানের জন্য লড়াই করতে সাহায্য করে।যারা ইতোমধ্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন এবং কেমে থেরাপি নিচ্ছেন তারাও এ পাতার রস সেবন করতে পারেন। কেমো থেরাপির কারনে শরীরে যে সাইডিফিক দেকা দেয় তার পাশ্বপতিক্রিয়া থেকে এর রস সমাধান দিতে পারে।
পেঁপেঁ পাতা সেবনের নিয়ম
পেঁপেঁ গাছ সকল স্থানে জন্মে থাকে। তাই আপনি নোংরা স্থানে, অস্বাস্থ্যকর গাছ, কোন কবরস্থান বা শশানে জন্মানো গাছের পাতা সংগ্রহ না করে বিশেষ করে কোন ভাল স্থানে জন্মানো স্বাস্থ্য সম্মত গাছের কচি পাতা সংগ্রহ করবেন। এর পর তা ভাল করে ধুয়ে নিবে এবং বিলিন্ডারে মাধ্যমে বিলিন্ড করে নিবেন। বিলিন্ড করা সম্ভব না হলে বা না থাকলে পাটায় পিশে এর রস সংগ্রহ করতে পারেন।পেঁপেঁ পাতার রস খাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি ১৮ বছরের উপর হয়ে থাকেন তাহলে দৈনিক ২ বার ৮-১০ মিলি করে সেবন করতে পারেন। ১২-১৮ বছরের জন্য ৫ মিলি, ৫-১২ বছরের জন্য ২.৫ থেকে ৩ মিলি খাবারের ৩০ মিনিট আগে দিনে দুই বার খেতে পারেন।পেঁপেঁ পাতা কখন খাবেন না
পেঁপেঁ পাতার রস গর্ভাবস্থায় খাবেন না। এছাড়াও অন্যসময় খাওয়ার পরে যদি আপনার শরীরে বিভিন্ন র্যাশ, এলার্জি, চুলকানি, পেট ব্যাথা দেখা দেয় তাহলে আপনি এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।উপসংহার
পেঁপেঁ পাতা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং ভেষজ ঔষধের মধ্যে একটি অন্যতম। আমরা যদি বাজারের ঔষধের উপর নির্ভরতা কমিয়ে এ ধরনের বিভিন্ন ভেজষ ঔষধ নিয়মমেনে সেবন করতে পারি তাহলে বিভিন্ন সাইডিফিক ছাড়ায় নিজে সুস্থ্য থাকতে পারি।লেখকের মন্তব্য: এ পোস্টের মাধ্যমে আজ আমি আপনাদের মাঝে ঘরো পদ্ধতিতে কিভাবে কাজ করে পেঁপেঁ পাতার রস তা নিয়ে আলোচনা করলাম। লেখায় ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং উক্ত পোষ্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকলে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য শেয়ার করে দিবেন। ধন্যবাদ
আপডেট ব্লগ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন; প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url