মাথা ব্যথার কারণ - মাথা ব্যথা সমাধান
মাথা ব্যথা হয়না এমন মানুষ পাওয়া বিরল। কিন্তু এ মাথা ব্যথাকে অবহেলা ঠিক হবেনা বা এড়িয়ে চলাঠিক নয়। তাই আমি আজ আপনাদের মাঝে আলোচনা করবো মাথা ব্যথার সমাধান নিয়ে। তাই পোস্টটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বিধায় পোস্টটি গুরুত্ব সহকারে পড়বেন আশা করছি।
মাথা ব্যথা একটি কমন বিষয়। অনেক ক্ষেত্রে এ কমন বিষয় হতে পারে হুমকির কারণ। কিন্তু আমাদের অনেকের জানা নাই মাথা ব্যথা কেন হয় এ বিষয় নিয়ে।
ভূমিকা
আমাদের দেশের প্রয়ে ৭০% মানুষের মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। মাথা ব্যথা বিভিন্ন কারনে হতে পারে। এ মাথা ব্যথা অনেক সময় সামান্য এবং কোন কোন সময় তিব্র আকার ধারন করতে পারে। তাই এর সঠিক সমাধান জানার জন্য আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।আরো পড়ুন: পেঁপেঁ পাতার উপকারিতা
মাথা ব্যথাকার কারণ
বিভিন্ন কারনে মাথা ব্যথা হতে পারে আসুন একএক করে এ কারণ সমূহ জানা যাক।আরো পড়ুন: কোলাজেন বৃদ্ধির উপায়
পর্যাপ্ত না ঘুমানো
আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমান না ঘুমান অর্থা ৬-৮ ঘন্টা না ঘুমান তাহলে আপনার মাথা ব্যথা দিতেপারে। ধরুন আপনি দিনে কাজ করার পরেও রাতেও কাজ করেন বা মোবাইল অথবা কম্পিউটারের সামনে বসে অধিক সময় ব্যয় করতে থাকেন তাহলেও আপনার মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে। কারণ ঘুম কম হলে মস্তিষ্কে ব্যথা অনুভোব করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে।
প্রথম লক্ষ্যন: মাথা ব্যথা যদি তিব্র আকার ধারন করে এবং মাথা ব্যথা ঘনঘন দেখা দিলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
দ্বিতীয় লক্ষ্যণ: ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়ার পরে যদি মাথা ব্যথা ভালো না হলে এবং যদি আরো খারাপ হতে থাকে তাহলে।
তৃতীয় লক্ষ্যন: মাথার সামনের দিকে অথবা এক সাইডে তিব্র ব্যথা হলে। এ ধরনের মাথা ব্যথা সাধারণত মাইগ্রেন থেকেও হতে পারে কিছু কিছু সময় ক্লাস্টার হেবেট থেকেউ হতে পারে।
চতুর্থ লক্ষ্যন: মাথা ব্যথার সাথে যদি বমি বাভ বা বমি হলে এবং মাথা ব্যথার সাথে আলো এবং সাউন্ড যদি যন্ত্রনাদায়ক হয় তাহলে।
পঞ্চম লক্ষ্যন: আপনার বয়স যদি ৪০ বছরের বেশি হয় এবং এ ধরনের মাথা ব্যথা এর আগে না হয় সেক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে যাবেন কারণ এ ধরনের লক্ষ্যন থেকে কেন্সারের সম্ভাবনা দেখা যায়। এ ধরনের মাথা ব্যথা হলেই যে ক্যান্সার হতে পারে এমন নয় তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।
যদি আপনার মাথা ব্যথা হঠাৎ শুরু হয় এবং প্রথমে অনেক ব্যথা হয় তাহলে ডাক্তারের কাছে যাবেন, কারণ এগুলো ব্রেনে রক্তক্ষরনের লক্ষন।
মাথায় গুরুত্বর আঘাত পেয়ে থাকলে। যেমন কোন দূর্ঘটনা, পড়ে গিয়ে ব্যথা পেলে এধরনের সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
প্রচন্ড পরিমান মাথা ব্যথার সাথে শরীর অবেষ হয়ে গেলে বা দূর্বল অনুভয় করলে কারণে এগুলো স্টোকের কারণ হয়ে থাকে।
লেখকের মন্তব্য: উক্ত পোস্টটি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগৃহিত তাই ভুল ভ্রান্তি থাকতে পারে। তাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন মন্তব্য থাকলে কমেন্ট করবেন উপকৃত হয়ে থাকলে পোস্টটি অন্যকে উপকৃত হওয়ার জন্য শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
টেনশন টাইপ মাথাব্যথা
এ ধরনের মাথা ব্যথা বিভিন্ন কারনে দেখা দিতে পারে। কিন্তু ভয়ের তেমন কোন কারন নেই। আসুন টেনশন টাইপ মাথাব্যথার কারণ সম্পর্কে জানা যাক।অনিয়ন্ত্রি কিছু খাবার
আপনি যদি বেশি পরিমান বা নিয়ম না মেনে চা, কপি, কোল্ড ডিংস ছাড়াও যে কোন ধরনের কোমল পানি পান করেন তাহলে আপনার মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে। কারনে এ ধরনের খাবার কফিন নামক একটি উপাদান থাকে যা মাথা ব্যথার কারণ।অতিরিক্ত ঘুমানো
এ কারণেও অনেক সময় মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে। যেমন ধরুন আপনি সারা সপ্তাহ কাজ করে একটি ছুটি পেয়ে থাকেন। আর সে সময় আপনি রিল্যাক্সে অনেক সময় ধরে ঘুমান তাহলেও অনেক সময় অনেকের মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে।পর্যাপ্ত না ঘুমানো
আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমান না ঘুমান অর্থা ৬-৮ ঘন্টা না ঘুমান তাহলে আপনার মাথা ব্যথা দিতেপারে। ধরুন আপনি দিনে কাজ করার পরেও রাতেও কাজ করেন বা মোবাইল অথবা কম্পিউটারের সামনে বসে অধিক সময় ব্যয় করতে থাকেন তাহলেও আপনার মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে। কারণ ঘুম কম হলে মস্তিষ্কে ব্যথা অনুভোব করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে।পর্যাপ্ত পারিমান পানি পান না করা
আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান না করেন তাহলে আপনার শরীরে ডিহাইড্রেশান দেখা দিতে পারে। শুধু মাত্র ডাইরিয়া, অতিরিক্ত ঘামার ফলে শরীরের পানি স্বল্পতা দেখা দিতে পারে ব্যপারটা এমন নয়। বিভিন্ন কারনেই শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। যা আমরা বুঝতে পারিনা তাই আমাদের প্রতিদিন অন্তত ২ লিটার পানি পান করতে হবে।খাওয়ার অনিয়ম
আপনি যদি অনিয়মিত খাবার খান তাহলেও মাথা ব্যথা দেখাদিতে পারে। যেমন আপনি যদি কোন বেলা না খান তাহলে আপনার শরীর স্বাভাবিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়ে কারন আমাদের প্রতিদিনের খাবার থেকে আমাদের শরীর একপ্রকার চিনি উৎপাদন করে যা আমাদের মস্তিষ্কের খাবার। যা থেকে ব্যহত হয় এর ফলে মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে। তাই আপনাকে যত ব্যস্থই থাকেন তবুন নিয়ম মেনে খেতে হবে।শারীরিক পরিশ্রম
অনেক সময় আমরা সারাদিন সুয়ে-বসে দিন পার করি। এতে আমাদের শরীরে তেমন কোন চাপ থাকেনা যার ফলে মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে। তাই নিয়মিত শরীরর চর্চা জরুরী।অতিরিক্ত চিন্তা করা
এটি একটি খুব সাধারণ বিষয়। আমরা অনেকে অনেক সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্ত করি যার ফলেও আমাদের মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে। আই যতদ্রুত সম্ভব চিন্তার বিষয়গুলো দুর করতে হবে।টেনশন টাইপ মাথা ব্যথার লক্ষ্যন
এ ধরনের মাথা ব্যথা মাথার চারিপাশ থেকে চাপ দিয়ে ধরে থাকে এমনও হতে পারে কেউ কোন কিছু আপনার মাথাতে বসিয়ে রেখেছে। আবার এও মনে হতে পারে কেউ চাপ দিয়ে মাথা চিপে ধরেখেছে। এ ধরনের টেনশন টাইপ মাথা ব্যথা খুব তিব্র আকার ধারণ করেনা এটি খুব সামান্য বা হালকা ধরনের মাথা ব্যথা। এ ধরনের মাথা ব্যথাতে কোন বমি বমি হয় না আলোতে বা কোন সাউন্ডে কোন প্রকার সমস্যা হয়না।টেনশন টাইপ মাথা ব্যথার ঔষধ
এ ধরনের মাথা ব্যথাতে আপনি প্যারাসিটামল ১০০০ মিলিগ্রাম খেতে হবে। ১০০০ না পাওয়া গেলে ৫০০ মিলিগ্রাম ২টি খেতে পারেন। ৪ থেকে ৬ ঘন্টা পরপর একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য এবং ওজন ৫০ কেজি থেকে উধ্বে। এবং ওজন যদি এর থেকে নিচে হয় এবং অন্য কোন রোগ থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।জটিল মাথা ব্যথার লক্ষ্যন
এখন আসুন জটিল কিছু মাথা ব্যথা নিয়ে আলোচনা করা যাক।যেগুলো হলে আপনি কোন প্রকার বিরম্বনা না করে ডাক্তারের কাছে দ্রুত যাবেন সে বিষয় নিয়ে।প্রথম লক্ষ্যন: মাথা ব্যথা যদি তিব্র আকার ধারন করে এবং মাথা ব্যথা ঘনঘন দেখা দিলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
দ্বিতীয় লক্ষ্যণ: ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়ার পরে যদি মাথা ব্যথা ভালো না হলে এবং যদি আরো খারাপ হতে থাকে তাহলে।
তৃতীয় লক্ষ্যন: মাথার সামনের দিকে অথবা এক সাইডে তিব্র ব্যথা হলে। এ ধরনের মাথা ব্যথা সাধারণত মাইগ্রেন থেকেও হতে পারে কিছু কিছু সময় ক্লাস্টার হেবেট থেকেউ হতে পারে।
চতুর্থ লক্ষ্যন: মাথা ব্যথার সাথে যদি বমি বাভ বা বমি হলে এবং মাথা ব্যথার সাথে আলো এবং সাউন্ড যদি যন্ত্রনাদায়ক হয় তাহলে।
পঞ্চম লক্ষ্যন: আপনার বয়স যদি ৪০ বছরের বেশি হয় এবং এ ধরনের মাথা ব্যথা এর আগে না হয় সেক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে যাবেন কারণ এ ধরনের লক্ষ্যন থেকে কেন্সারের সম্ভাবনা দেখা যায়। এ ধরনের মাথা ব্যথা হলেই যে ক্যান্সার হতে পারে এমন নয় তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।
ভয়ঙ্কর মাথা ব্যথার লক্ষ্যন
এ ধরনের মাথা ব্যথা হলে কোন বিরম্বনা না করে হাসপাতালে যেতেহবে।যদি আপনার মাথা ব্যথা হঠাৎ শুরু হয় এবং প্রথমে অনেক ব্যথা হয় তাহলে ডাক্তারের কাছে যাবেন, কারণ এগুলো ব্রেনে রক্তক্ষরনের লক্ষন।
মাথায় গুরুত্বর আঘাত পেয়ে থাকলে। যেমন কোন দূর্ঘটনা, পড়ে গিয়ে ব্যথা পেলে এধরনের সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
প্রচন্ড পরিমান মাথা ব্যথার সাথে শরীর অবেষ হয়ে গেলে বা দূর্বল অনুভয় করলে কারণে এগুলো স্টোকের কারণ হয়ে থাকে।
উপসংহার
মাথা ব্যথা একটি কমন বিষয়। কারণ এটি প্রায় মানুষের হয়ে থাকে। তাই আমাদের এদিকে গুরুত্ব সহকারে নজর দিতে হবে। কারণ মাথা ব্যথার সমস্যা আপনার রাতের ঘুম, দৈন্দিন কাজ, হাসা, কথা বলা, চলা ফেরার বেঘাত ঘটাতে পারে। এছাড়াও এটি শারীরিক বিভিন্ন জটিলতার লক্ষ্যন হতে পারে।লেখকের মন্তব্য: উক্ত পোস্টটি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগৃহিত তাই ভুল ভ্রান্তি থাকতে পারে। তাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন মন্তব্য থাকলে কমেন্ট করবেন উপকৃত হয়ে থাকলে পোস্টটি অন্যকে উপকৃত হওয়ার জন্য শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
আপডেট ব্লগ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন; প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url