ফরজ গোসল কখন করব - ফরজ গোসল করার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আজ আমি আপনাদের মাঝে খুব খুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। তাই পুরো পোস্টটি গুরুত্ব সহকারে পড়বেন। আমরা অনেকে ফরজ গোসল নিয়ে বিভিন্ন মতভেদের মধ্যে আছি। তাই আপনারা জানতে পারবেন আপনি ফরজ গোসল কখন করবেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।
 
ফরজ গোসল কখন করব - ফরজ গোসল করার নিয়ম

এছাড়াও আমারা অনেকে বিভিন্ন সময় যে ভাবে গোসল করি ফরজ গোসলও সেই নিয়মেই করি। আসলে এটিও সঠিক ভাবে ফরজ গোসল করার নিয়ম নয়।

ভূমিকা

সকল নরনারীর জন্য ফরজ গোসল খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আর মুসলিম ধর্মেও এর গুরুত্ব অনেক বেশি। ইসলাম ধর্মে ফরজ গোসল তরফ করা ফরজ তরফ করার সামিল। আর আমরা সবাই জানি ফরজ তরফ করার শাস্তি কি হতে পারে। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকের বিভিন্ন ধারনা রয়েছে এ ফরস গোসলের প্রতি। তাই আসুন এ সম্পর্কে জানা যাক।

ফরজ গোসল কখন করব

ফরজ গোসলের জন্য নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। যেমন ধরুন আপনি বিবাহিত স্ত্রী সহবাসের প্রয়োজনে স্ত্রী সহবাস করেছে তখন গোসল ফরজ হয়। এছাড়াও কোন পুরুষের স্বপ্ন দোষ হয়ে থাকলে তার জন্য গোসল ফরজ হয়। শরীরের যে কোন স্থানে নাপাক পানির স্পর্স হয়ে থাকলে গোসল ফরজ হয়। এখন কথা হলো এই গোসল কখন করবেন।
 
 
আমাদের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন মতবাদ দিয়ে থাকে। বিশেষ করে মা বোন দের মধ্যে এই মতভেদ রয়েছে ব্যপক। তারা মনে মনে গোসল ফরজ হলে কোন কাজ করা যাবেনা, বাচ্চাকে দুর্ধ পান করানো যাবেনা, মাটিতে পা দিয়ে বেশি চলা ঠিক নয় বা সংসারের কোন কাজ করা যাবেনা। আসলে এই ধরনের মন্তব্য সঠিক নয়। এগুলো বহু প্রাচিন কাল থেকে এই কুসংস্কারগুলো চলে আসছে।
 
আল্লাহ তায়ালা মানুষকে নাপাক পানি দিয়ে সৃষ্টি করলেও মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষ কখন অপবিত্র হতে পারে না। আপনি সহবাসের পর আপনার অপবিত্র স্থানগুলো বা যেখানে নাপাক লেগেছে সেখানে উত্তর ভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এর পর আপনি সংসারের বিভিন্ন কাজ, খাওয়া দাওয়া, বাচ্চাকে দুর্ধ পান করানো কাজ সমূহ করতে পারবেন।

ফরজ গোসল ছাড়া যে কাজগুলো করা নিষেধ

কারো যদি গোসল ফরজ হয়ে থাকে তাহলে সে ব্যক্তি সালাত আদায় করতে পারবেনা, কোনআন শরীফ ছোয় বা পড়া যাবেনা, মসজিদে প্রবেশ করতে পারবেনা। এছাড়াও বাহিরে বিশেষ করে কবরস্থান বা এ ধরনের কোন জায়গায় না জাওয়ায় ভালো।

ফরজ গোসল করার নিয়ম

কারো যদি গোসল ফরজ হয়ে থাকে তাহলে তাকে গোসলের পূর্বে উত্তম রুপে ওযু করতে করতে হবে। ওযু করা শেষে পুরো শরীর খুব ভালো ভাবে ধোত করতে হবে। তবে গোসলের পূর্বে গোসলের দোয়া সঠিক ভাবে পড়তে হবে। গোসল এমন ভাবে করতে হবে যাতে শরীরের একটি পশমও যেন শুনা বা পশমের গোড়ায় পানি না যাওয়া হয় সেদিকে লক্ষ্য করতে হবে।

উপসংহার

গোসল ফরজ হয়ে থাকলে আমাদের যে কোন কাজ করা যাবেনা বা খাওয়া যাবেনা তেমন কিছু নয়। তবে কিছু নির্দিষ্ট কাজ আছে যেগুলো করা যাবেনা। কিন্তু বিশেষ করে আমাদের লক্ষ্য করতে হবে যেন কোন ক্রমেই গোসল তরফ না হয় সেদিকে।

লেখমের মন্তব্য: গোসল ফরজ হলেও আপনি কাজ কর্ম করতে পারবেন শুধু বিশেষ বিশেষ কিছু কাজ ছাড়া। এবং মনে রাখবেন যেন গোসল তরফ না হয়। কারন ইহা তরফ করলে ফরজ তরফের পাপ হয়। ‍উক্ত পোস্ট পড়ে আপনি উপকৃত হয়ে থাকলে এই পোস্টটি অন্যকে জানার জন্য শেয়ার করুন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপডেট ব্লগ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন; প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url