মেয়েদের চুলের যত্ন-খুশকি দুর করার উপায়

 সকল মানুষের সৌন্দয্যের অন্যতম বিষয় হচ্ছে চুল। সেক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য বিষয়টি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি মেয়ের সৌন্দয্যয়ের ৫০% এর বেশি নির্ভর করে চুলে। কিন্তু অনেকেরই সেই সৌন্দয্যটি অনেক কারণে নষ্ট হয়ে যায়। তাই এই চুলের যত্ন নিবেন কিভাবে যেনে নিন।

মেয়েদের চুলের যত্ন-খুশকি দুর করার উপায়



চুল কার না ভালো লাগে। ভালো চুলের আশা বা স্বপ্ন সকল মানুষের হওয়ায় সাভাবিক। কিন্তু কিছু ভুলের কারনে আমরা আমাদের কাংখিত চুল আশা করতে পারিনা। এই ‍ভুল হতে পারে নিজের অজান্তে বা সঠিক যত্ন ও পরিচর্য না করার কারনে।

ভূমিকাঃ

চুল আমাদের সকলের প্রিয়। কিন্তু কিছু ভুলো অভ্যাস, সঠিক পরিচর্যযা না করা, অথবা নিজের অজান্তে আমরা আমাদের মনের মত চুল আশা করেও তা পুরন করতে পারিনা। স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। তাই আসুন আমাদের চুলকে বাচাতে হলে নিচের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পড়ে নিয়।

চুল বাড়ছে না:

লম্বা চুল সকল মেয়ের স্বপ্ন। কিন্তু কারো কারো এই স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নেয়া কারো নেয়ানা। এটি এটি একটি বড় সমস্যা। অনেকের চুল আছে কিন্তু সেই চুলের বৃদ্ধি তুলনামুলক অনেক কম। এমতাবস্থায় চুল বাড়ানোর জন্য যা করবেন। প্রথমত ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমান ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা মাথার ত্বকের চিকিৎসায় অনেক উপকারী। 
যা ব্যবহারের নিয় হলো তেলটি মাইক্রোওয়েভে ১০ সেকেন্ড ধরে গরম করুন এবং আঙ্গুলের সাহায্যে চুলের গোড়ায় ভালো ভাবে লাগিয়ে নিন।

চুল লম্বা হলেরই হবে না তা হতে হবে সুস্থ ও মজবুত। এক্ষেত্রে আমাদের যা ব্যবহার করতে হবে:
নারিকেল তেল, লেবু, দই ও ডিম:
একটি পরিষ্কার পাত্রে এক চামচ নারিকেল তেল নিন তাতে একটি লেবুর পুর রস চিপে নিন, এর সঙ্গে এক চামচ দই ও একটি সম্পূর্ণ ডিম ভেঙ্গে নিন। এবং সবটুকু একসঙ্গে ফ্যাট করতে থাকুন। যতক্ষন না পর্যন্ত সবগুলো মশ্রিন হচ্ছে। এর পর আঙ্গুলের সাহায্যে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিন। সম্পূর্ণ লাগানো হলো একটি তোয়ালে গরম পানিতে ডুবিয়ে চুলে বাষ্প দেওয়ার জন্য চুলে ১৫ মিনিটের জন্য মুড়িয়ে রাখুন। তার পর হালকা গরম পানিতে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

চুল ভেঙ্গে যাওয়া ও ঝরে পড়া রোধ করুন:

চুল ভেঙ্গে যাওয়া ও ঝরে পড়া নারী পুরুষ সবার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। যা খুবই বিরক্তিকর ও অসস্থিকর বিষয়। চুল ঝরে পরার কারনে মাথা টাক হয়। আর যার মাথা টাক হয়ে সেই জানে চুলের কি মর্ম। তাই এই সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন আসুন জেনে নেওয়া যাক:

অলিভ ওয়েল:

অলিভ ওয়েল চুলের যত্নে যার কোন জুড়ি নেই। অলিভ ওয়েল সহনিয় ভাবে গরম করে আপানর চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে একটি পরিষ্কার তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে চুলে জড়ি রাখুন। এর পর ৪০-৪৫ মিনিট পর শ্যাম্পু নিয়ে ধুয়ে নিন।

মেথি:

চুলের যত্নে মেথি একটি অন্যতম ও উল্লেখযোগ্য উপাদান। যুগযুগ ধরে চুলের যত্নে মেথি দানা ব্যবহার হয়ে আসছে।এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হলুদ রঙের বীজ /মেথি দানা এতটাই কার্যকরী যার সাহায্যে অনেক রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। শুধু তাই নয়, চুলে তার নতুন প্রাণ যোগ করতে পারে এই দানা। নিয়ম করে এই দানা ব্যবহার করলে চুল হবে ঝলমলে সুন্দর ও মশ্রিন।
মেথি বীজ যেভাবে চুলের উপকার করে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমান আয়রন এবং প্রোটিন। এই দুটি জিনিসই চুলের জন্য প্রয়োজনীয়। এই কারণেই মেথি দানা চুলের অনেক সমস্যা, যেমন- চুল পড়া, খুশকি, শুষ্ক প্রাণহীন চুল ইত্যাদি থেকে মুক্তি দিতে পারে।

খুশকি ভালো করুন বা খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়:

খুশকি চুলের জন্য একটি বিরাট সমস্যা। খুশকি নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য একটি বিরক্তিকর বিষয়। খুশকির প্রভার শীতকালে বৃদ্ধি পায় পায়। এতে করে চুলের সৌন্দয্য নষ্ট হয়। এমনকি লোক সমাজে এটি একটি অসস্তিকর বিষয়। খুশকির জন্য আমরা বিভিন্ন মিডিয়াতে নানা প্রকার শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপন দেখে তা ব্যবহার করি। 
কিন্তু এতে থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান আমাদের চুলের ভালো করার থেকে ক্ষতিটায় বেশি করে থাকে। তাই আসু জেনেনিয় খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয় পদ্ধতি।

  • নারকেল তেল: নারকেল তেল খুশকির কমাতে একটি কাযকরী উপাদান । এ ছাড়াও চুলে গোড়া ময়েশ্চারাইজ করা সহ খুশকি এবং স্ক্যাল্প ইনফেকশনের কমাতে সাহায্য করে। সপ্তাহে দু’বার চুলের গোড়ায় নারকেল তেলের দিলে দ্রুত উপকার পাওয়া সম্ভব।
  • পেঁয়াজের রস: দুইটি পেঁয়াজ ভাল করে বেটে নিয়ে এক মগ পানিতে মিশিয়ে নিয়ে মাথায় এই রস ভাল করে মালিশ করুন। কয়েক মিনিট পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে সপ্তাহে দু’বার পেঁয়াজের রস মাথায় দিলে খুশকির সমস্যায় দ্রুত উপকার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • টকদই: খুশকি দূর করতে টকদই একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে ধরা যায়। টকদই মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ১০-১৫ মিনিট রাখার পর ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।
  • লেবুর রস: লেবুর রস খুশকি দুর করতে একটি কার্যদুকরী উপাদান।তাই লেবুর রস টেবিল-চামচ অল্প পানিতে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে থাকুন। ৫ মিনিট ম্যাসাজ করার পর চুল পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দু’বার এইভাবে চুলে লেবু ব্যবহার করুন।

লেখকের মন্তব্যঃ

উপরোক্ত তথ্যগুলো অনুশোরনের পাশাপাশি আপনি আপনার চুলের যত্ন নিন। ভেজা চুল অবস্থায় বেশি চিরুনি দিয়ে আচরাবেন না কারণ ভেজা চুল ভাঙ্গে বেশি এবং চুলকে ধুলা বালি থেকে মুক্ত রাখুন বেশি রোদে যাবেন না কারন রোদের তাপে চুলের ক্ষতি হয় সম্ভব হলে রোদে যাওয়ার সময় চুলের উপর উড়না পেচিয়ে নিন।
রাখে ঘুমানের সময় শক্ত করে চুলের বিয়ানি করা থেকে বিরত থাকুন। ধন্যবাদ......

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপডেট ব্লগ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন; প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url