বিভিন্ন কিওয়ার্ড খোঁজা ও কিওয়ার্ড রাংক করিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়।

আমরা সবাই সাধারণত অনলাইলে বিভিন্ন লেখা লেখির সাথে জড়িত। সেই সুবাদে আমরা সবাই কিওয়ার্ড সম্পর্কে ধারনা রয়েছে। তাই আমাদের বিভিন্ন কিওয়ার্ড খোঁজা ও তা গুগলে র‌্যাংক করানোর বিশেষ টেকিক এর মা্ধ্যমে কিভাবে ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

একটি আটিকেল লেখার জন্য কিওয়ার্ড এর গরুত্ব অনেক। কারন কিওয়ার্ড এর উপর ভিত্তি করে আপনার পোস্ট গুগলো র‌্যাংকরার বিষয়টি অনেকই নির্ভর। এছাড়াও কিওয়ার্ড রিসার্চ, বিশ্লেষন, অ্যানালাইসিস এর ভিত্তি করে আপনার পোষ্টটি গুগলের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পায়। 

এবার আপনাদের মাঝে Buying কিওয়ার্ড র‌্যাংক করে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন সে বিষয়ে আলোচনা করবো। এবার আপনার প্রশ্ন হতে বারে Buying কিওয়ার্ড কি? কোন ব্যক্তি গুগলে কোন বিষয় নিয়ে সার্চ করলো এই পোডাক্টটি ভালো না খারাপ বা তারা কোন পোডাক্ট ক্রয় করবে কিন্তু সঠিক তথ্য খুজে পায়না। সেক্ষেত্রে আপনি Buying কিওয়ার্ড ব্যবহার করে আয় করতে পারেন।

ধরুন কোন ব্যক্তি একটি ফ্যান সম্পর্কে গুগলে সার্চ করলো অথ্যাৎ সেই লোকটি ফ্যান ক্রয় করবো বলেই তো সার্চ করেছে। আপনি যদি ফ্যান সম্পর্কে কোন পোষ্ট লিখে গুগলো র‌্যাংক করাতে পারেন তাহলে সেই লোকটি আপনার ওয়েব সাইডে প্রবেশ করার পর ফ্যান সম্পর্কে বিস্তারিত জানবে। আপনার যদি কোন ফ্যানের ব্যবসা থাকে তাহলে আপনার সেই ওয়েব সাইডের লিংকটি সেখাবে প্রবেশ করাতে পারেন।

সার্চ কারী সেই ওয়েব সাইড থেকে যদি ফ্যান ক্রয় করে তাহলে আপনার সেখান থেকে একটি ইনকাম হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া যদি আপনার নিজের কোন ব্যবসা না থাকে তাহলে কোন একটি ভালো অনলাইন ব্যবসার ওয়েব সাইডের সাথে লিংকটি সেখানে দিয়ে দিতে পারে। এবং একটি পাসেন্ট আপনার হতে আপনা আপনি চলে আসবে। আর একে এফিলিয়েক মার্কেটিং ও বলে বলে থাকে। এভাবে অনেক লোক ইনকামের সাথে যুক্ত রয়েছে।

লং টেইল কিওয়ার্ড বিশ্লেষর্ণ

এবার আপনাদের মাঝে আলোচনা করবো লং টেইল কিওয়ার্ড সম্পকে। লং টেইল কিওয়ার্ড কি? কেন ব্যবহার করবো? এবং কাজের ব্যবহার করা উচিত? লং টেইল কিওয়ার্ড আসলে কারা ব্যবহার করবে যারা নতুন এসিও করছে নাকি যারা আর্টিকেল লেখার সাথে যুক্ত বা কোন এক্সপার্ট। আমরা সকলে জানি কিওয়ার্ড সম্পর্কে। যেমন ধরুন আপরা ওয়েব সাইটে গিয়ে যদি আম কি লিখে সার্চ করি তাহলে সেটি হলো কিওয়ার্ড।

আর যদি আমের পুষ্টিগুন সম্পকে বিস্তারিত তথ্য লিখে সার্চ করি তাহলে একে সাধারণত লং টেইল কিওয়ার্ড বলা হয়। আমরা যদি কোন এক্সটনশন এ গিয়ে দেখি তাহলে আমরা দেখি লং টেইল কিওয়ার্ডের চেয়ে ছোট কিওয়ার্ড নিয়ে সার্চ করা লোকের পরিমান বেশি।

আপনার ওয়েব সাইট টি নতুন হয় এবং আপনি যদি ‍গুগল এডসেন্স থেকে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে লং টেইল কিওয়ার্ড দিলে লিখা শুরু করতে হবে। পরবর্তীতে যদি আপনি র‌্যাংক করতে পারনে তাহলে ছোট ছোট কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলেও সমস্যা নাই।

আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আগে থেকে তেমন কোন আইডিয়া থাকেনা।কোন আর্টিকেল লেখার জন্য গুগল থেকেই টপিক খুজে নিতে হয়। যেমন গুলগলে কোন কিছু লিখতে গেলেই প্রথমে অনেকগুলো টপিক ভসে উঠে বা নিচের দিকে গেলেও আমরা তা দেখতে পাই। আর আমরা সেখানে দেখেই বুঝতে পারি মানুষজন গুগলে কি লিখে সার্চ করে। সাধারণত সেখান থেকে ভালো টপিক খোঁজার আইডিয়া পাওয়া যায়।

এখন কথা হলো কিওয়ার্ড অ্যানালাইসিস কি ভাবে পাবো। আমরা যে পটিক লিখে লিখা লেখি করবো সেটা নিয়ে গুগল বসালে সে সম্পর্কে আরো অনেক লিখা পাবো যেগুলো কিওয়ার্ড হিসাবে ব্যবহার করলে মানুষজন সেগুলো লিখে সার্চ করলেও আমাদেরকে দেখাবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে অন্যরা যে ভাবে লিখেছে তার থেকে আমাদেরটা আরো ভালো হতে হবে।

এখন আমি আপনানের মাঝে গেস্ট ব্লগিংকি তান নিয়ে আলোচনা করবো। আমরা সাধারণত জানি ব্লগিং মানে লেখা লেখি করা আর গেস্ট মালে অতিথি। তাহলে ধরে নেওয়া যায় গেস্ট ব্লগিং মানে অতিথি লেখক। অর্থাৎ আপনি যদি কোন ওয়েব সাইডে অন্যের হয়ে লেখা লেখি করে করেন তাহলে আপনাকে গেস্ট ব্লগিং হিসাবে ধরে নেওয়া যায়। গেস্ট ব্লগিং এর কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে।

সুবিধা সমূহ হলো এখানে আপনার কোন রিক্স নাই। মানে হলো আপনি পরিশ্রম করে কোন আর্টিকেল লিখলেন সেক্ষেত্রে আপনি তাৎক্ষনিক আপনার পারিশ্রমিক পেয়ে গেলেন। সেটা গুগলে র‌্যাংক করুক বা না করুন।

অসুবিধা সমুহ হলো ধরুন আপনি এমন একটি আর্টিকেল লিখলেন তার বিনিময়ে আপনি তাৎক্ষনিক কিছু অর্থ পেয়ে গেলেন। অপর দিকে আপনি যাকে আর্টিকেলটি দিলেন সেই আর্টিকেলটি গুগলে র‌্যাংক করলো তাহলে আপনার সেই আর্টিকেলের মাধ্য উক্ত ব্যক্তি সারাজীবন অর্থ আয় করতে পারবে।

আর্টিকেল লিখে আপনি বিভিন্ন ভাবে আয় করতে পারে। তা হলো বিভিন্ন ওয়েব সাইডের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাছে আপনার আর্টিকেল বিক্রি করে এছাড়া আপনার ফেজবুক পেজের মাধ্যমে এ্যাড দিয়ের আপনি আর্টিকেল বিক্রি করতে পারে। অপর দিকে আপনি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস ফাইবারে গিগ তৈরি করেও কাজ করতে পারেন।

উপরোক্ত তথ্যের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম যে আর্টিকেল লিখার বিভিন্ন নিয়ম ও বিভিন্ন টুলস এর সঠিক ব্যবহার। উপরোক্ত বিষয় মাথায় রেখে যদি আমরা লিখে পাবলিশ করি তাহলে আমরা খুব সহজেই গুগলে র‌্যাংক করা সহ গুগলের নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের ওয়েব সাইড পরিচালনা করতে পারি।