অনলাইনে ভোটার হওয়ার উপায়-অনলাইনে ভোটার আবেদন করার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আজ আমি আপনাদের মাঝে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো আর সেটি হলো কিভাবে আপনি ঘরে বসে অনলাইনে ভোটার হওয়ার আবেদন করবেন সেটি নিয়ে। তাই প্রিয় পাঠক খুব গরুত্ব সহকারে এই পোস্টটি পড়ুন এবং ঘরে বসে আপনার বা আপনার ছোট ভাই বোন দের অনলাইনে র্নিভুল ভাবে ভোটার লিখিয়ে ফেলুন।
দিন
দিন পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশ আধুনিকতায় ও বৈজ্ঞানিক অগ্রযাত্রায় ব্যপক
উন্নতি ও সমৃদ্ধি লাভ করছে। এদিক থেকে আমাদের দেশ কোনভাবে পিছিয়ে নেয়। তাই এ
আধুনিকতার ছোঁয়া বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে ব্যপক সাড়া ফেলেছে। তাই আর
লাইনে দাড়িয়ে ভোটার লিখার ঝামেলা দিণ শেষ।
ভূমিকা
আপনি
আপনার ভোটর লিখার জন্য লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে ভোটার লিখছেন। আবার
ভোটার কার্ড পাওয়ার পর সেখানে নানান ভুলে ভরা। এই সমস্যার কারনে অনেক
হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেকে। তাই ঘরে বসে নিজের সকল তথ্য নিজে নিজে লিখে
আবেদন করুন সঠিক ভাবে।
অনলাইনে ভোটার আবেদন করার জন্য যা যা দরকার
আপনার
বয়স যদি ১৬ বছরে হয়ে থাকে তাহলে আপনি ভোটার আবেদন করতে পারবেন। আপনার
ভোটার আবেদন করার জন্য প্রথমত আপনার জন্ম নিবন্ধন থাকতে হবে এবং উক্ত জন্ম
নিবন্ধন নম্বর বাংলাদেশ সরকারের জন্ম নিবন্ধন ওয়েব সাইডে ভেরিফাইড থাকতে
হবে। ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন হলে খুব ভালো হয়।
এর
পর প্রয়োজন আপনার রক্তের বিভাগ সনাক্তর প্রমানপত্র। আবেদন করার সময় সেটি
না থাকলেও (যদি রক্তের গ্রুপ জানা থাকে) কিন্তু ছবি তোলার সময় সেটি আপনার
সঙ্গে রাখতে হবে। সঙ্গে পিতা ও মাতার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি সাথে থাকতে হবে
। বিবাহিত হয়ে থাকলে স্বামী বা স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে সেটি সঙ্গে
রাখবেন তবে মনে রাখবেন ছবি তোলার সময় কিন্তু বিয়ের কাবিন নামার ফটোকপি
লাগবে।
অনলাইনে যেভাবে আবেদন করবেন
অনলাইনে
ভোটার হওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে মোবাইল বা কম্পিউটারের যে কোন একটি
ব্রাউজারে প্রবেশ করতে হবে। পরবর্তীতে আপনাকে
https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই লিংকে প্রবেশ করতে হবে এবং
সেখানে নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন বাটনে ক্লিক করতে হবে। এর পর আপনার
ইংরেজিতে পুরো নামের বানান এবং জন্ম তারিখ লিখুন এবং তার নিচে থাকা সংখ্যা
যে ভাবে আছে নিচের ফাঁকা ঘরে লিখে বহাল বাটনে ক্লিক করুন।
পরবর্তীতে
আপনার কাছে একটি মোবাইল নম্বর চাওয়া হবে এবং আপনার কাছে থাকা মোবাইল
নম্বরটি দিয়ে বহাল করলে আপনার কাছে একটি এসএমএস যাবে সেখানে থাকা OTP কোড
দিয়ে প্রবেশ করা যাবে এবং আপনার কাছে একটি ইউজার আইড ও পাসওয়ার্ড চাওয়া হবে
সেটি আপনার ইচ্ছামত দিয়ে প্রবেশ করুন।
প্রবেশ
করার পর আপনার সামনে একটি ফরম ওপেন হবে সেখানে প্রোফাইল নামক বাটনে ক্লিক
করলে আপনার সামনে একটি ফরম ওপেন হবে। সেখানে আপনার বাংলা নামের বানান দিবেন
এবং আপনার পিতা ও মাতার বাংলা নামের স্থানে সঠিক ভাবে নাম লিখুন এবং ভোটার
আইডি নম্বর লিখুন। পিতা অথবা মাতা কেউ যদি মৃত্যুবরণকরে তাহলে মৃত্যুর
তারিখ টি লিখতে হবে।
কোন
বড় ভাই বা বোন থাকলে তাদের তথ্য লিপিবন্ধ করতে পারেন এবং বিবাহিত হয়ে
থাকলে স্বামী বা স্ত্রীর নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর লিখুন। এবং পরবর্তী
বাটনে ক্লি করে সেখানে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, রক্তের বিভাগ, ধর্ম ইত্যাদি
তথ্য পুরন করে আবার পরবর্তী করে সেখানে আপনার ঠিকানা ও ভোটার এলাকা
নির্বাচন করুন।
তথ্য
হালনাগাদ করার সময় কোন ডকুমেন্ট প্রয়োজন নেই। উক্ত তথ্যগুলো সঠিক থাকলে
আপনি সাবমিট করুন। সাবমিট করার পর একটি পিডিএফ ফরম ডাউনলোড হবে। সেটি
প্রিন্ট করে নিজের কাছে রাখুন।
ছবি তোলার সময় যা যা প্রয়োজন
আপনি
সঠিক ভাবে আবেদন সম্পন্ন করে থাকলে আপনাকে আপনার উপজেলা নির্বাচন কমিশন
অফিস থেকে একটি এসএমএস প্রদান করা হবে ছবি তোলার জন্য। সেখানে উপস্থিত
হওয়ার জন্য আপনার ডাউনলোডকৃত ফর্মে একজন জনপ্রতিনিধি (মেয়র বা চেয়ারম্যান)
কর্তৃক স্বাক্ষর, নাগরিকত্ব সনদপত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র, পিতা মাতার
জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, বিদ্যুৎ বিল এর ফটোকপি, বাড়ির ট্যাক্স পরিশোধ
কপি নিয়ে উপস্থিত হতে হবে।
ছবি তোলার পর যা করবেন
আপনার
ভোটর তথ্য লিখা ও ছবি তোলার পর আপনার আবেদনের ফরম থেকে নিচের অংশ আপনাকে
প্রদান করা হবে। সেটি আপনি কাছে রেখে দিবেন এবং ছবি তোলার ১ সপ্তাহ পরে
নিজেই https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/
লিংকে প্রবেশ করে একাউন্ট নেই রেজিষ্টার করুন বাটনে ক্লিক করে আপনার কাছে
থাকা টোকেনের nidfn নম্বর টি ফ্রম নম্বরে লিখুন এবং জন্ম তারিখ দিলে আপনার
তথ্য অনলাইনে লিপিবদ্ধ থাকলে একটি ফরম আসবে।
সখানে
আপনার ঠিকানা সিলেক্ট করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করলে সেখানে আপনার মোবাইল
নম্বরটির কিছু অংশ প্রদর্শীত হবে কিন্তু আপনার কাছে যদি সে নম্বর না থাকে
তাহলে অন্য নাম্বার দিলেও হবে। পূর্বে মতো সে নম্বরে একটি ১০৫ থেকে এসএমএস
আসবে। সেখানে থাকা ওটিপি কোড লিখুন এবং বহাল বাটনে ক্লিক করলে একটি কিউআর
কোড আসবে সেই QR কোড স্ক্যান করার জন্য NID Wallet নামক একটি গুগল প্লে স্টোর
থেকে এ্যাপ্স দিয়ে সেটি স্ক্যান করার পর আপনার ফেস স্ক্যান চালু হবে
অটোমেটিক ভাবে। তবে মোবাই প্রয়োজনীয় এমবি থাকতে হবে। ফেস স্ক্যান সম্পন্ন
হলে। আপনি সেখানে থেকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রটি ডাউনলোড করতে পারবেন।
উপসংহার
উপরোক্ত
তথ্যের আলোকে আশা করি আপনি কিভাবে অনলাইনে ভোটার আবেদন করবেন এবং কিভাবে
অনলাইন থেকে ভোটার কার্ড ডাউনলোড করবে সেটি বুঝতে পেরেছেন। আর এভাবে আপনি
ঘরে বসে নির্ভুলভাবে জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করবেন নিরাপদে ও
নির্ভুলভাবে।
লেখকের মন্তব্য:
প্রিয় পাঠক আর লাইনে দাড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা না করে নিজেই ঘরে বসে
এনআইডি কার্ডের আবেদন করুন নির্ভুলভাবে। এটি আমার মনে হয় সহজ ও নিরাপদ।
ধন্যবাদ।
আপডেট ব্লগ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন; প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url